পিসীমা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি করিবি?”
“আমি কলিকাতায় যাই। দেখি, ব্যাপার কি। প্রভাতের মত জানি। যদি তাহার মতই হয়!”
“মিত্রবাড়ীর উহারা কি মনে করিবে?”
“মিত্রবাড়ী কায হয়, খুবই ভাল। একান্ত না হয়, কি করা যাইবে? তাঁহারা খুব চেষ্টা করিতেছেন, কিন্তু আমরা ত কোনও কথা দিই নাই। এখনকার ছেলে—বড় হইয়াছে, তাহার অমতে কায করা ভাল হইবে না।”
“ইহা তোমরাই করিলে। আমি কবে হইতে বলিতেছি, ছেলের বিবাহ দাও।”
বড়বধূ ঠাকুরাণী ননন্দাকে বলিলেন, “তোমরা যাহা বলিবে, তাহার উপর ছেলের আবার কথা কি?”
নবীনচন্দ্র হাসিয়া বলিলেন, “এখন কি আর সে কাল আছে?”
নবীনচন্দ্র বহির্বাটীতে যাইতেছিলেন, পিসীমা তাঁহাকে ডাকিলেন, বলিলেন, “দেখ্, নবীন, যদি প্রভাতের মতই জানিতে হয়, তবে না হয় সতীশকে দিয়া একখানা পত্র লিখাইয়া দে। তোর কাছে যদি লজ্জায় না বলে?”
নবীনচন্দ্র ভাবিলেন, প্রভাত তাঁহার নিকট যাহা বলিবে না, কাহারও নিকট তাহা প্রকাশ করিবে না; তিনি বলিলেন, “না। এখন এ কথা কাহাকেও বলিয়া কায নাই।”
নবীনচন্দ্র বহির্বাটীতে আসিলেন। শিবচন্দ্র চণ্ডীমণ্ডপে ছিলেন। নবীনচন্দ্র ভ্রাতার নিকট বসিলেন।
৫১