বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ।

না যায়, সেই কয় দিনই ভাল। আমরাও কন্যার বিবাহ দিয়াছি; কিন্তু বরপক্ষীয়গণ দরের কোনও কথা বলেন নাই।”

 বুদ্ধিমান শ্যামাপ্রসন্ন বুঝিলেন, টাকার কথাটা প্রলোভনীয় না হইয়া বিপরীতফলপ্রসূ হইয়া দাঁড়াইতেছে! তিনি বলিলেন, “সে কথা নহে। আপনারা মহৎ ব্যক্তি, আপনাদিগকে কি আমরা সে কথা বলিতে পারি? কৃষ্ণনাথের এক মেয়ে, জামাতাকে কিছু যৌতুক দিতে ইচ্ছা করে, তাই আপনার অনুমতি চাহিতেছে।”

 নবীনচন্দ্র বলিলেন, “তাহাতে আমাদের মতামত কি?”

 শ্যামাপ্রসন্ন অন্য কথার উত্থাপন করিলেন।

 কৃষ্ণনাথের কনিষ্ঠ পুত্র নলিনবিহারী শ্যামাপ্রসন্নকে কি বলিয়া গেল। শ্যামাপ্রসন্ন কৃষ্ণনাথকে বলিলেন, “যাও; শোভাকে লইয়া আইস। শ্বশুরকে প্রণাম করিয়া যাউক।”

 কৃষ্ণনাথ কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইলেন, এবং অল্পক্ষণ পরেই সুবেশসজ্জিতা, বহুমূল্য অলঙ্কারে ভূষিতা, অমলস্রগ্দামশোভিতা কন্যাকে লইয়া প্রত্যাগত হইলেন। শোভা নবীনচন্দ্রকে প্রণাম করিল। নবীনচন্দ্র যথোপযুক্ত আশীর্ব্বাদ করিলেন। তিনি দেখিলেন, কৃষ্ণনাথের কন্যা সত্যই সুন্দরী।

 প্রত্যাবর্ত্তনকালে নবীনচন্দ্র কৃষ্ণনাথের কুল শীল পরিচয় জিজ্ঞাসা করিয়া আসিলেন।

 নবীনচন্দ্র পরদিন গৃহে যাইতে পারিলেন না; ঘটকের নিকট কৃষ্ণনাথের কুলপরিচয় লইয়া আসিলেন। তিনি জানিলেন, কৃষ্ণনাথের সঙ্গে সম্বন্ধ সে হিসাবে স্পৃহনীয়।

৬০