পিসীমা বলিলেন, “কিন্তু, মিত্র বাড়ীর—”
নবীনচন্দ্র বলিলেন, “চুপ কর। ও কথা আর তুলিও না। একেই দাদার মত করান সহজ হইবে না; তাহাতে আবার তুমি যদি অমত কর, তবেই বিপদ। ছেলের যখন এ বিবাহে ইচ্ছা, তখন যাহাতে এ কায হয়, তাহাই করিতে হইবে।”
পিসীমা নীরব হইলেন। প্রভাতের সুখের অপেক্ষা আর কিছুই বড় নহে।
বড়বধূঠাকুরাণীর মুখ গম্ভীর দেখিয়া নবীনচন্দ্র বলিলেন, “আপনি যেন অমত করিবেন না!”
নবীনচন্দ্র স্নান করিয়া আসিয়া দেখিলেন, শিবচন্দ্র তাঁহার আগমনবার্ত্তা পাইয়া গৃহে ফিরিয়া তাঁহার প্রত্যাবর্ত্তন প্রতীক্ষা করিতেছেন।
অগ্রজের নিকট নবীনচন্দ্র কাশীর সকল সংবাদ বিবৃত করিলেন। শুনিয়া শিবচন্দ্র বলিলেন, “তাঁহার শ্রাদ্ধের অধিকারীদিগকে সংবাদ দিয়াছ?”
নবীনচন্দ্র উত্তর করিলেন, “দিয়াছি। লিখিয়াছি, তাঁহারা যথারীতি নিয়ম পালন করেন; শ্রাদ্ধ যে স্থানে করা আপনার মত হয়, তাঁহাদিগকে জানাইলে তাঁহারা আসিয়া কার্য্য করিবেন।”
“লিখিয়াছ, ব্যয় আমাদের?”
“লিখিয়া দিব।”
তাহার পর নবীনচন্দ্র কৃষ্ণনাথের কন্যার সহিত প্রভাতের
৬৪