কমল জিজ্ঞাসা করিল, “মিত্রবাড়ী?”
“না। কলিকাতায়।”
“জ্যেঠামহাশয়ের মত হইল?”
“তাঁহার বড় মত ছিল না। তোমার বাবা আর পিসীমা বিশেষ জিদ করিলেন; তাই অগত্যা তিনি মত দিলেন।”
“সেই জন্য তোমাকে ডাকিয়া পাঠাইয়াছিলেন?”
“হ্যাঁ।”
“তুমি কি বলিলে?”
“শ্বশুর মহাশয় পূর্ব্বেই আমাকে বলিয়াছিলেন যে, এ বিবাহে প্রভাতের ইচ্ছা: কাযেই আমি আর মতামত প্রকাশ করি নাই।”
“দাদা বুঝি আপনি সব স্থির করিয়াছে?”
সতীশ হাসিয়া বলিল, “কেন, তাহাতে দোষ কি?”
দোষ কি, তাহা বুঝান যায় না। তবে ইহা প্রচলিত প্রথা নহে,—তাই কেমন নূতন বোধ হয়। কমল চুপ করিয়া রহিল।
অল্পক্ষণ পরে কমল বলিল, “কিন্তু জ্যেঠামহাশয় যাহা বলিয়াছিলেন, তাহা কি ঠিক নহে?—সহরের মেয়েদের অভ্যাস অন্যরূপ; পল্লীগ্রামে কি তাহাদের অসুবিধা হয় না?”
সতীশ হাসিয়া বলিল, “তাহা আমি কেমন করিয়া বলিব? তবে আমরা পল্লীবাসী, পল্লীবাসিনী লইয়াই কাটাইলাম; প্রভাতের ভাগ্য নগরবাসিনী জুটে, সে ত সুখের কথা”
কমল বলিল, “কেন, তোমার কি সেই ইচ্ছা হইয়াছে নাকি?”