বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ

 নবীনচন্দ্র ফিরিয়া দাড়াইলেন। কমল বলিল, “বাবা, আমি গত সন্ধ্যা হইতে শ্যামের মা'কে বলিতেছি, আজ সকালে উঠিয়াই মাছ আনিতে হইবে। সে এখনও গেল না। এত বেলায় কি আর কিছু পাওয়া যাইবে?”

 কমল আপনার আগ্রহের আতিশয্যে ভুলিয়। গিয়াছিল যে, শ্যামের মা'ই তাহার দাদাকে 'মানুষ' করিয়াছিল; দাদার আগমনসম্ভাবনায় তাহারও আনন্দ অল্প হয় নাই। ভালবাসা মানুষকে বড় স্বার্থপর করে।

 নবীনচন্দ্র হাসিয়া উঠিলেন; মুখমুক্ত ধূমরাশি বাতাসে ছড়াইয়া পড়িল। তিনি বলিলেন, “শ্যামের মা প্রত্যুষ হইতেই আমাকে তাগিদ দিতেছে। আমিই তাহাকে যাইতে দিই নাই।”

 কমল অভিমানের সুরে বলিল, “কেন?”

 “জেলেদের সংবাদ দিয়াছি! আর একটু পরে আমিই যাইয়া পুষ্করিণীতে মৎস্য ধরাইয়া আনিব। দেখিব, তুই আজ কেমন রাঁধিস্। জেলেদের জন্য, তৈল, চিঁড়া ও মুড়কী বাহির করিয়া রাখিস্। তাহারা এখনই আসিবে।”

 কমলের মুখ আনন্দোৎফুল্ল হইয়া উঠিল।

 এই সময় নবীনচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ শিবচন্দ্র অন্তঃপুর হইতে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি, নবীন?”

 জ্যেষ্ঠকে দেখিয়া নবীনচন্দ্র ত্রস্তে হুঁকা নামাইয়া রাখিলেন। নূতন সভ্যতা ও নূতন ভাবের সঙ্গে সঙ্গে নূতন আকারে পরিণত