পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ।

প্রভাত লিখিল, “বাবা আমাকে পত্র লিখেন না কেন? নিশ্চয়ই তাঁহার রাগ পড়ে নাই।”

 উত্তরে নবীনচন্দ্র লিখিলেন, “দাদা পত্র লিখেন নাই বলিয়া দুঃখ করিয়াছ কেন? আমার পত্র পাইলে কি হয় না? দাদা নানা কার্য্যে ব্যস্ত; সর্ব্বদা তাঁহার সময় হয় না। তাহা তুমি জান। সেই জন্যই আমি তোমার পত্রের উত্তর দিয়া থাকি। তুমি ত কখনও তাহাতে কিছু মনে করিতে না। তুমি পূর্ব্বের মত তাঁহাকে পত্র লিখিবে।”

 প্রভাত বুঝিল, নবীনচন্দ্র যাহা লিখিয়াছেন, তাহা সত্য। কিন্তু সন্দেহ মিটিল না; হৃদয়ে যে ছায়া পড়িয়াছিল, তাহা অপসৃত হইল না।

 ইহার পর হইতে প্রভাত প্রত্যাবর্ত্তনের জন্য ব্যগ্রতা প্রকাশ করিতে লাগিল। কৃষ্ণনাথ বলিলেন, “আর এক পক্ষ পরেই সকলে ফিরিব। বাস্ত হইয়া অগ্রে যাইবার প্রয়োজন কি?” শেষে প্রভাত বলিল, “কলেজের ছুটী ফুরাইয়া আসিল। তাড়াতাড়ি বাড়ী হইতে আসিয়াছিলাম। বাড়ীতে আবশ্যক আছে, বাড়ীর পত্র পাইয়াছি। একবার বাড়ী যাইব।” তাহার আগ্রহাতিশয়ে কৃষ্ণনাথ সম্মতি দিতে বাধ্য হইলেন। তাহার প্রধান কারণ, তাঁহার গৃহিণী তাঁহাকে বুঝাইয়াছিলেন,—জামাই যখন সত্য সত্যই যাইবার জন্য ব্যস্ত হইয়াছে, তখন আর পুনঃপুনঃ বাধা দিয়া কায নাই।

 শোভার কিন্তু নিশ্চয় বিশ্বাস জন্মিল, প্রভাত দার্জ্জিলিংএ

৮৯