বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ।

তাঁহার সামান্য বিরক্তিও দীপ্ত অঙ্গারের মত পুত্ত্রের হৃদয় দগ্ধ করে। একমাত্র পুত্ত্রের ব্যবহারে দারুণ অভিমান স্নেহময় পিতৃহৃদয় পীড়িত করিতেছিল—স্নেহের প্রবাহপ্রকাশপথ রুদ্ধ করিয়া দারুণ বেদনা দিতেছিল। আবার পিতার অপরিম্লান স্নেহলাভে অভ্যস্ত পুত্ত্রের হৃদয়েও পিতার সামান্য বিরক্তি হেতু দারুণ মর্মবেদনা ও তাঁহার ব্যবহারে অভিমান জন্মিল। উভয়েরই হৃদয়ে বেদনা,— অথচ কেহই তাহা প্রকাশ করিলেন না । যদি প্রভাত একবার পূর্ব্বের মত পিতার কাছে সরলভাবে কোনও প্রয়োজনের কথা বলিত, তবে শিবচন্দ্রের উচ্ছ্বসিত স্নেহস্রোতে সকল অভিমান ভাসিয়া যাইত। যদি শিবচন্দ্র একবার পূর্ব্বের মত বলিতেন, “প্রভাত, তুই এই কার্য্য কর” বা “তুই এই কার্য্য করিতে পাইবি ন।,” তবে পুত্ত্রের হৃদয়ের সকল ব্যথা অপনীত হইত । কিন্তু তাহা হইল না ।

 ছুটী ফুরাইল। প্রভাত কলিকাতায় গেল। সে পিতার আঁধার মুখ দেখিয়া ভাবিতে ভাবিতে গেল,—আমার দোষ কি?

৯১