বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጓበማl-ቐፃ] ] শিকড় গাড়িতে পারছে না বলে, হয় শুকিয়ে যাচ্ছে, নয় পরগাছা হচ্ছে। এই কারণেই “মেঘনাদবধ” কাব্য পরগাছার ফুল। “অৰ্কিড”-এর মত তার আকারের অপূৰ্বতা এবং বর্ণের গৌরব থাকলেও, তার সৌরভ নেই। খাটি স্বদেশী বলে “অন্নদামঙ্গল” স্বল্পপ্ৰাণ হলেও কাব্য ; এবং কোন দেশেরই নয় বলে” “বৃত্ৰ ংহার” মহাপ্ৰাণ হলেও মহাকাব্য নয়। ভারতচন্দ্ৰ, ভাষার ও ভাবের একতার গুণে, সংযমের গুণে, তার মনের কথা ফুলের মত সাকার করে তুলেছেন, এবং সে ফুলে, যতই ক্ষীন হোক BD BDS BOLLD DBDBDSDBBDD DDD SSS SSBBBD DBBBD DD বিদেশের বর্তমান, এই দুটি প্রাণশক্তির বিরোধ নয়, মিলনের উপর আমাদের সাহিত্যের ও সমাজের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আশা করি বাংলার পতিত জমি সেই মিলনক্ষেত্র হবে । সেই পতিত জমি আবাদ করলেই ত’তে যে সাহিত্যের ফুল ফুটে উঠবে, তাই ক্ৰমে জীবনের ফলে পরিণত হবে। তার জন্য। আবশ্যক আর্ট, কারণ প্রাণশক্তি একমাত্র আর্টেরই বাধ্য। আমাদের এই ক্ষুদ্র পত্রিকা আশা করি এ বিষয়ে লেখকদের সহায়তা করবে। বড়কে ছোটর ভিতর ধারে’ রাখাই হচ্ছে আর্টের উদ্দেশ্য। ওস্তাদরা বলে থাকেন যে “গৌড়-সারঙ্গ” রাগিণী ছোট, কিন্তু গাওয়া মুক্ষিল; “ছোটসে দরওয়াজাকে অন্দর হাতী নিকালনা যৈসা মুন্ধিল ঐসা মুস্কিল, দরিয়াকে পাকড়কে কুঁজামে ডালনা যৈসা মুন্ধিল ঐস মুন্ধিল ।” অবস্থা গুণে যতই মুন্ধিল হােক না কেন, বাঙ্গালীর্জাতিকে এই গৌড়সারঙ্গই গাইতে চেষ্টা করতে হবে। আমাদের বাংলাঘরের খিড়কি-দরজার ভিতর প্রাচীন ভারতবর্ষের হাতী গলাবার চেষ্টা করতে হবে, আমাদের গৌড়-ভাষার মৃৎ-কুম্ভের মধ্যে সাত