বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আৰ্য্যধৰ্ম্মের সহিত বাহ ধৰ্ম্মের যোগাযোেগ ।। ২৯৭ দেওয়া হয়। মেধাতিথি বলেন যে “স্মাৰ্ত্তবৈদিকয়োনিতং। ব্যতিষঙ্গাৎ পরম্পরাম।” স্মৃতির সঙ্গে বেদের যে সম্বন্ধ, Law • এর সঙ্গে Morality-রও সেই সম্বন্ধ । অর্থাৎ এ দুই পরস্পর একান্ত জড়িত। ধৰ্ম্মশাস্ত্রে যে, এ দুটি বস্তু পৃথক করা হয়নি তার কারণ এ শাস্ত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সম্বন্ধে উপদেশ দেওয়া নয়, আদেশ দেওয়া । তৎসত্ত্বেও বৌদ্ধ ও জৈনশাস্ত্ৰে যে সকল শীলের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে সে সকলের উপদেশ ধৰ্ম্মশাস্ত্রেও আছে। এর থেকে শ্ৰীযুক্ত বিধুশেখর শাস্ত্রীমহাশয় প্রমাণ করতে চান যে, বৌদ্ধ এবং জৈনধৰ্ম্ম বৈদিক ধৰ্ম্ম হ’তে উৎপন্ন। বাহাধৰ্ম্ম এবং বৈদিকধৰ্ম্মের এই শীলগত ঐক্য থেকে তার একটি যে অপরআর-একটি থেকে উৎপন্ন এরূপ অনুমান করা যুক্তিসঙ্গত নয়। নচেৎ এ অনুমানও সঙ্গত যে, মানবধৰ্ম্মশ্লাস্ত্র दाशेरुव्न श्'(ऊ উৎপন্ন ; কেননা চুরি করা, হিংসা করা, পরদার গমন করা, মিথ্যা কথা বলা এবং পরদ্রব্যে লোভ করা মনুর মতেও অধৰ্ম্ম, Moses-এর মতেও অধৰ্ম্ম। এ প্রকার যুক্তি অনুসরণ করলে বরং এই সত্যে উপস্থিত হতে হয় যে, বৈদিকধৰ্ম্ম বৌদ্ধ এবং জৈনধৰ্ম্ম হতে উৎপন্ন, কেননা কোন কোন পুরাতত্ত্ববিদের মতে সংস্কৃত ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰসকল বুদ্ধের জন্মের পরবর্তী কালে লিখিত হয়েছিল। আমার বিশ্বাস যে, এ বিষয়ে ভারতবর্ষের কোনও ধৰ্ম্ম অপর কোনও ধৰ্ম্মের নিকট ঋণী নয়। এই ধৰ্ম্মজ্ঞান ভারতবর্ষের উত্তরাপথের প্রাচীন সভ্যতার অন্বয়াগত সম্পত্তি । এবং এই কারণেই ধৰ্ম্মশাস্ত্রে Moral LaWS-C সামান্য-ধৰ্ম্ম বলে’ উল্লেখ করা হয়েছে। “চুরি করে৷ " নিষেধ বৰ্ণাশ্রমনিবিচারে সকলের পক্ষে সমান প্রযোজ্য। অপর পক্ষে لر9