e VK नौजवगन श्री মনিরুদ্দীনের বাল্যকাল হইতেই তদুভয়কে দেখিয়া আসিতেছেন। তদুভয়ের স্বভাব পরস্পর ভিন্ন রকমের, মনিরুদ্দীন যেমন দাস্তিক, নিৰ্ব্বোধ, অশিষ্ট, চঞ্চল এবং নির্দী; মজিদ তেমনি ঠিক তাহার বিপরীত-মজিদ মার্জিতবুদ্ধি বিনয়ী, শিষ্ট শান্ত ধীর এবং পরোপকারী। সেইজন্য বৃদ্ধ হরিপ্রসন্ন বাবু মজিদেরই বিশেষ পক্ষপাতী। মনিরুদ্দীনের পিতার মৃত্যুর পর হইতে তঁহার জমিদারীসংক্রান্ত কোন মামলা-মোকদম উপস্থিত হইলে হরিপ্রসন্ন বাবুৰ মজিদ খাঁর সহিতই তৎসম্বন্ধে পরামর্শ করিতেন। মনিরুদ্দীনকে সেজন্য তঁহার বড়ু-একটা প্রয়োজন হইত না। পর্ব জোহেরার পিতার সহিতও সুবিজ্ঞ উকীল হরিপ্রসন্ন বাবুর খুব বন্ধুত্ব ছিল। মনিরুদ্দীনের পিতার ন্যায় তাহারও জমিদারী-সেরেস্তার সমস্ত মামূলা-মোকদমা, হরিপ্রসন্ন বাবুর হাতে আসিয়া পড়িত। জোহেরার পিতার সহিত মনিরুদ্দীনের পিতার বিশেষ সম্ভাব থাকায় তদুভয়ের জমিদারী-সেরেস্তার মামলা-মোকদ্দমা এক নিজের হাতে, লাইতে হরিপ্রসন্ন বাবুর কোন গােলযোগের সম্ভাবনা ছিল না। এবং দুইজন বড় জমিদারকে হাতে পাইয়া তীহার আয়ের পথ বেশ সুগম হইয়াছিল। এক্ষণে মুন্সী জোহিরুদ্দীন জোহেরার বিষয়-সম্পত্তির অছি হওয়ায় হরিপ্রসন্ন বাবুর একটু ক্ষতি হইয়াছে। মুন্সী সাহেব কিছু স্বজাতিপ্রিয়। তিনি অধিকাংশ মোকদ্দমা একজন স্বজাতীয় ব্যবহারজীবের হস্তে নির্ভর করিয়া থাকেন। তবে কোন সঙ্গীন মোকদ্দমা উপস্থিত হইলে হরিপ্রসন্ন বাবুকেই তাঁহার প্রয়োজন হইত। হরিপ্রসন্ন বাবুও তাঁহাতে কিছুমাত্র দুঃখিত ছিলেন না ; যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করিয়াছেন ; এখন এই বৃদ্ধ বয়সে অতিরিক্ত পরিশ্রমে আর র্তাহার বড়ু-একটা রূচি ছিল না। তবে তিনি জোহেরাকে অত্যন্ত, স্নেহ করিতেন। বলিয়া ঐকানিক সময়ে তীহাকে স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হইয়া অনেক কাজ সম্পাঙ্ক