বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|- ܀ܪܪ ঘরটি ছোট-টেবিল, কোঁচ, আত্মারী, চেয়ার ও ছবিতে সুন্দররূপে সাজান। এক কোণে একটা বড় টেবিল হারুমোনিয়ম রহিয়াছে, তঁহার পার্শ্বে বায়া তবলা, মৃদঙ্গ, সেতার, এসরাজ-কয়েকটা বাদ্যযন্ত্র - श्रुक्लिन्न। झश्झिाgछ । সকলে নীরবে সেই ছোট ঘরটিতে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। বেশীক্ষণ অপেক্ষা করিতে হইল না। কক্ষের বাহিরে কাহার মৃদু পদধ্বনি শুনা গেল। তখনই পার্শ্ববৰ্ত্তী একটি কক্ষের দ্বারসম্মুখস্থ পৃদ্ণ উঠাইয়া দীর্ঘাবয়বসম্পন্ন, চারুচন্দ্ৰবদনা একটি সুন্দরী দ্বারপথে বিস্ময়োদ্বিগ্ন খে দাড়াইল । দেবেন্দ্রবিজয় ও হরিপ্রসন্ন বাবু বিস্মিতভাবে মুন্সী সাহেবের মুখের দিকে চাহিলেন ! ইচ্ছা-পলাতকা পত্নীর পুনরাবির্ভাবে মুন্সী সাহেব কি করেন, দেখিবেন। মুন্সী সাহেব রুষ্ট সিংহের ন্যায় গৰ্জিয়া উঠিলেন, “পিশাচী-সুগ্নতানী,” বলিতে বলিতে লাফাইয়া সেই রমণীর সম্মুখীন হইলেন। সহসা যেন একটা বাধা প্ৰাপ্ত হইয়া, চকিতে দুই পদ পশ্চাতে হটিয়া জড়িত কণ্ঠে, বলিলেন, “তুমি-তুমি-তুমি ত সেই স্বজান নও।” ” রমণীও বিস্মিতভাবে স্মিতমুখে কহিল, “আমি ! আমি কেন স্বজান৷ হইতে যাইব ? “আমি নই-আপনাদের ভুল হইয়াছে।” দেবেন্দ্রবিজয় ও হরিপ্রসন্ন বাৰু উভয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট্রের ন্যায় দাড়াইয়া উঠিলেন। সমন্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে তবে তুমি ?” . . .

  • রমণী বলিল, “দিলাজান।।”.