পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য আবার ধীরে ধীরে ইংরেজী সাহিত্য হইতে মনটা সুপ্রভার দিকে যাইত। এই ভাবে আমি পরীক্ষার জন্য প্ৰস্তুত হইলাম। নিতান্তই অদৃষ্টের জোর ছিল, আর পিতৃপুরুষদেরও বোধ করি পুণ্যাবল ছিল ; তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভুগণ আমাকে গলহন্তে বিদায় দিতে পারেন নাই ; আমি প্ৰথম বিভাগেই উত্তীর্ণ হইয়াছিলাম। পরীক্ষা শেষ হইলেই আমি দাদার কাছে চলিয়া গিয়াছিলাম ; তাহার পরে অদ্য পৰ্য্যন্ত আমি পাটনায় যাই নাই। আমার মনে নিজের প্রতি অবিশ্বাস জন্মিয়াছিল ; তাই পাটনায় যাই নাই। আমি বুঝিয়েছিলাম পাটনায় থাকিলে আমার পরকাল নষ্ট হইবে। অনেক কষ্টে এ প্ৰতিজ্ঞা রক্ষা করিয়াছিলাম। যাহা হউক, গোড়ায় একটা কথা বলিয়া রাখি। সুপ্রভার চিন্তা আমি ত্যাগ করিতে পারি নাই। মনে স্থির করিয়াছিলাম, এ জীবনে বিবাহ করিব না, ব্ৰহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করিব। কলেজে পড়িবার সময় একটু আধটুকু ভালৰাসায় পড়িয়া আমার মত ব্ৰহ্মচারী হইবার জন্য অনেকেই প্ৰতিজ্ঞা করিয়া থাকেন । এটা বয়সের দোষ, কি কন্দৰ্প ঠাকুরের দোষ কোন দিন তাহা বুঝিতে পারি নাই। তাহার পর সাত বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। আমি আজ দুই বৎসর হইতে আলিপুরে ওকালতী আরম্ভ করিয়াছি। কি পাই না পাই সে কথা এত লোকের মধ্যে বলিয়া পসার মাটী করিতে রাজী নই। ভবানীপুরে ছোট একখানি বাসা আছে, রাধিবার ব্ৰাহ্মণ আছে, একটা চাকর আছে, একজন মোহরার আছে, ভাড়াটিয়া গাড়ীতে কাছারীতে যাই। শ্বশুর অবশ্য খরচ যোগান না-আমার ; শ্বশুর হইবার সৌভাগ্য এখনও কোন ভাগ্যবতী কন্যার পিতার হয় নাই। সেই কলেজের ব্ৰহ্মচর্য্যের প্রতিজ্ঞ এ সাত বৎসর রক্ষা করিয়াছি। সুপ্রভার কথা p O