বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের কাহিনী । চক্ষু দুটি বজায় থাকে ত আমি সংবৎসরের মধ্যে এ ঋণ পরিশোধ করিব। তোমার মুখের দিকে চাহিয়া আমি দ্বিগুণ পরিশ্রম করিব ; তোমার মুখ যদি প্ৰফুল্ল দেখিতে পাই তাহা হইলে আমি পরিশ্রমকে পরিশ্রম বলিয়া মনে করিব না। তুমি আর অধীরা হইও না।” . সুলোচনা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “বুঝিয়াছি; মান বঁাচাইবার জন্য নিজের সুখ, নিজের শরীর, সমস্ত নষ্ট করিবে স্থির করিয়াছ। আমিই তোমার সর্বনাশ করিলাম।” তাহার কথার প্রতিবর্ণে নিরাশার ও কাতরতার ভাৰি ফুটিয়া উঠিতেছিল। পরদিন প্ৰাতঃকালে বড় বাবুর কাছে তমসুক লিখিয়া দিয়া একশত চল্লিশ টাকা কার্জ লইলাম। বড় বাবুর সুদ কিছু বেশী, কম্পোজিটারগণ অনেক সময় তাহাকে “বাশু” বলিত। হউক, আমি তাহার নিন্দ করিব না, অসময়ে তিনি আমার বড় উপকার করিলেন। মাসে শতকরা দুই টাকা সুদের করারেই টাকা লইলাম। তমলুকের গোড়াতেই কিস্তিদ্বন্দী ছিল, প্ৰতি মাসে পািনর টাকা করিয়া শোধ করিতে হইবে। নিজের অবস্থার কথা না ভাবিয়া, কোন কথা চিন্তা না করিয়া বড় বাবু যে সর্ত করিলেন, তাহাতেই রাজি হইলাম। কোন কিছু ভাবিবার অবকাশ ছিল না-গহনা যে আজ ফেরত দিতে হইবে । আফিস হইতে সকাল সকাল ফিরিয়া তাগা জোড়াটা ক্রয় করিলাম ; তাহার পর সন্ধ্যার পূর্বেই বাবু মহাশয়ের বাড়ী গিয়া বালা, তাগা আর হার ফেরত দিলাম। কাৰ্য্যবশে অলঙ্কার ফেরত দিতে দুদিন বিলম্ব হইয়াছে বলিয়া তঁহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলাম। বসু মহাশয় উদার ও সরল হাস্যে বলিলেন, “সেজন্য অত সঙ্কুচিত হইতাছে কেন ? এ বিলম্বের জন্য ত আমার কোন ক্ষতি হয় নাই।” তিনি অলঙ্কার গুলির