ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ ১০১ ব্ৰজেশ্বরী স্বাভাবিক স্বরে কহিল, বেশ জমী, ভেতরে এসে বলুচি। তোমার কিন্তু ভয়ের কারণ নেই মা, আপনার লোককে কেউ খারাপ মতলব দেয় না, আমিও দিচ্চি নে । . . মা বহুক্ষণ হইতেই অন্তরে পুড়িয়া মরিতেছিলেন, জলিয়া উঠিয় বললেন, তার মানে আমি লোকজনকে কু-মতলব দিয়ে থাকি, না ? তখনি, জানি, ও কালামুখী যখন ঘরে ঢুকেচে, তখন এ বাড়িও ছারখার করবে। সাধে কি কুঞ্জনাথ ওকে দুটি চক্ষে দেখতে পারে না, এই স্বভাব-রীতির গুণে ! মেয়েও তেমনি শক্ত কি একটা জবাব দিতে যাইতেছিল, কিন্তু কুমুমের হাতের চিম্টি খাইয়া থামিয়া বলিল, সেই জন্সেই কালামুখীকে বলছিলুম, য, শ্বশুরঘর কত্ব গে যা, থাকিস্নে এখানে । শ্বশুরবাড়ির নামে মা তামুলরঞ্জিত অধর প্রসারিত ও তিলকসেহিত নাসি কুঞ্চিত করিয়া বলিলেন, বলি, কোন শ্বশুরঘরে ঠাকুঞ্চিলে পাঠিয়ে দিছ লো ? নন্দ বোষ্ট— এবার ব্রজেশ্বরী ধমক দিয়া উঠিল—সমস্ত জেনে শুনে ন্যাক সেজে খাম ক ম মুষকে অপমান করে না । শ্বশুরঘর মেয়েমামুষের দশ-বিশটা “ থাকে না যে, আঞ্জ মন্দ বোষ্ট্রমের নাম করবে, কাল তোমার গোবৰ্দ্ধনের বাপের নাম করবে, আর তাই চুপ করে শুনতে হবে। মেয়ের নিষ্ঠুর স্পষ্ট ইঙ্গিতে বীরুদের মত ফাটিয়া পড়িয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন, হতভাণী, মেয়ে হয়ে তুই মার নামে এত বড় অপবাদ দিপ্ ! মেয়ে বলিল, অপবাদ হলেও বাচ তুম মা, এtয সত্যি কথা। মাইরি বলছি মা, তোমাদের মত দু-একটি বেষ্টম মেয়েদের গুণে আমার বরং হাড়ি মুচি বলে পরিচর্য দিতে ইচ্ছে করে, কিন্তু বেষ্টম বলতে মাথা কাটা যায়। থাকু চেচামেচি ক’রো না, যদি অপবাদ দিয়েটি বলেই তোমার