পারস্য ইতিহাস । * o সঙ্গে করি আনে এক অপূর্ণ রমণী বিদায় হইয়। রাজা গমন করুিr/ হাব ভাব কটাক্ষেতে ভুলায় অমনি । যাইতে যাইতে পথে ভাবিতে নাগিল । হিরা মণি চুনি মুক্ত জড় অলঙ্কার । । রাজাধিরাজের হতে যুব ধনি মানি । স্বাভাবিক ৰূপে ৰূপ লজ্জা পায় তার ॥ । কিন্তু মিথ্যা মন্ত্রিবর কহিয়াছে দানি ॥ সিহরিয় উঠে রাজা রমণী হেরিয়া । তৰু পা ঐ শিখী নারী দেখিয়া যখন । বসাইল সমাদরে আপনি ধরিয়া ॥ মগ্ন হয়ে করিলাম প্রশংসা তখন ॥ রাজার কথায় পাশে বসিল বন্দিনী । তথাপি ন দিল কিছু অামাকে লইতে। উথলিল নৃপতির প্রেম তরঙ্গিনী । তবে কিসে তুল্য হবে আনার সহিতে । যুবতী রাজার মন হরিল যখন । দানশক্তি কিছু নাই দপমাত্র সার। গুন দেখাইতে যুব ভাবিল তখন ॥ ধন দেখাইয়। লোকে করে অহঙ্কার । বীণা বাদ্যে রমণী নিপূণ অতিশয় । নাজানে মহিমা কিছু অাছে মাত্র ধন । অনাইল বীণা এক বণিক তনয় ॥ বিভবেতে স্নেহ, যুব বড়ই কৃপণ ৷ বাদ্য আরম্ভিল নারী বীণা হাতে নিয়া থাকরে উজার তুই দেখাব এবার । শুনিতে লাগিল রাজা মনোযোগ দিয়া । কহেছিস মিথ্যা কথা ন পাৰি নিস্তার• একেত সৌন্দর্ষ্য হেরি কম উচাটন । এই ৰূপে নৃপবর কতই ভাবিল । তাহাতে, বীণার বাদ্যে মোহিত রাজন ॥ বিরক্ত হইয়া পরে বাসাতে আসিল ॥ প্রশংসা করিতে চায় কথা নাহি সরে । সেখানে যে অপরূপ হেরিল রাজন । কিঞ্চিৎ চৈতন্য হলে কহিলেন পরে ॥ লেখনি নাহিক পারে করিতে বর্ণন ॥ ওহে যুবা “শুন তুমি অতি ভাগ্যবান । বিচিত্ৰ পটের বস্ত্র দেখে নানামত । দেহধর কেহ নাই তোমার সমন” । পুরুষ রমণী ভূত্য রহিয়াছে কত ॥ রাজার আনন্দ হেরি বণিক নন্দন । অশ্ব উষ্ট্র, আর কত অন্য জাতি পশু । রমণীর করে ধরি করিল গমন ॥ তরু শিখী নারী বীণা আর পাত্র শিশু ॥ ইহা দেখি নৃপবর অত্যন্ত তাপিত । রাজার বিস্ময় মনে দেখিয়া হইল । ক্রোধ প্রকাশিতে চান হইয়। কুপিত হেন কালে সবে আসি ভুপে প্ৰণমিল। কিন্তু রাগ সম্বরিয়া হন সান্ত মতি । রমণী অনিয়া দিল মণ্ডিত লিখন । হেনকালে পুনশ্চ আসিল গৃহপতি । খুলিয়। নীচের কথা পড়িল রাজন। নী আইল কোন কিছু অার তার সঙ্গে । দিবা অবসান হয় কেীৰ্ত্তক প্রসঙ্গে ॥ পশ্চাৎ*কহিল রাজা কোমল ভাযায় । - 거 “ ব্যামহ না দিব অণর যাইব বাসায় ॥ 으 উত্তর করিল যুব মধুর বচনে । , অকিঞ্চনেদয়াকরি, আসিয়া অামারপুরী আপনি যাবেন তবে রাখিব কেমনে ॥ অতিথিত্ব করিয়া স্বীকার; ফটক অবধি গিয়া ভূপালের সনে. মলীন মানস ক্ষেত্র, করিয়াছ স্থপবিত্র কহিলেন ক্রটা কিছু না করিবে মনে। চমৎার চরিত্র তোমার ॥
