বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস । শুনিয়া সায়েদ স্তব্ধ বদন পাঙ্গাস । শিহরিয়া বলে হায় একি সৰ্ব্বনাশ ॥ ধিক্ মোরে প্রেম তরে পরাণ রাখিব । কি ভয় ভুজঙ্গ মুখে আপনি যাইব ॥ লক্ষ লক্ষ বীর যদি সেই সাপে খায় । সে বরঞ্চ সুখ প্রাণে কায নাহি তায় ॥ কহিলাম কেন ভাই একি কথা কও ৷ আপনার বেলা কেন অসন্মত হও । দেখ দেখি সে তোমায় এমন সদয় । তীরে হতাদর করা কভু যুক্ত নয় ॥ অন্যের সময়ে বল প্রাণ বড় ধন ৷ আপন সময়ে ভুল সে প্রাণ কেমন ॥ আপনি ঘৃণায় যাহে মরিবারে চাও । সেই কৰ্ম্মে অন্য জনে কেমনে লয়াও ॥ বুঝ দেখি যেই কৰ্ম্মে শিহরে অন্তর । তাহাতে প্রবৃত্তি করে কেবা হেন নর। অতি যে কামুক ব্যক্তি সেও কাপে ত্ৰাসে কার সাধ্য এমন জন্তুকে ভলিব সে ॥ হাপৃসিনী প্রেতিনী প্রায়দেখে ভয় লাগে। কেমনে বাচিব বল তাঁর অনুরাগে ॥ মরিব বরঞ্চ সখা সেও অঙ্গীকার । এৰূপে বাচিয়া প্রাণে কাষ নাই অার ॥ এতেক শুনিয়া সখা স্বীকার করিল। মরণ মঙ্গল তায় নিৰ্দ্ধার্য্য হইল ॥ যখন ডাকিয়া করে প্রেমের অভিষে । বিরাগ তখন তাহে করিব প্রকাশ ॥ ক্রদ্ধা হয়ে কুংসিতাঙ্গী ভুজঙ্গেরে দিবে। মরিব সে প্রেম নাহি করিতে হইবে ॥ • এৰূপ প্রতিজ্ঞা করি অাছি দুই জনে । ভাবিতেছি বিভবেরী হবে কতক্ষণে ॥ ক্রমে রবি অস্ত গেল রজনী হইল । কাল কাফ্রি দুই জন তখনি অাইল । তারা কহে ধন্য ধন্য তোমরা দুজন । শুভ ক্ষণে এখানে করেছ পদপিণ ॥ múmmí × & ® too এসে দেণহে সুখভোগ করহ আসিয়া । আছে দুই কোমলাঙ্গী অশ্বিাসে বসিয়া ॥ এত বলি দুইজনে লইয়া চলিল । কন্যার হজুরে নিয়া হাজির করিল। রাজকন্যা সখী সঙ্গে একত্রে তখন । বসিয়া বাঘের ছালে করিছে ভোজন ॥ দেখ মাত্র কাফুিকন্যা অাদরে সস্তাষে । বলে এসো প্রাণ নাথ বসে মেীর পাশে ॥ সখী সঙ্গে তব সঙ্গী একত্রে বসিবে । যে যার কামিনী তার নিকটে থকিবে ॥ খেতেছিল মদ্য মাংস খাদ্য দ্রব্য যাহা । বস ইয়া দুই জনে খাওয়াইল তহি ॥ মির্শ সখী মুক্তিকরি ভণ্ডেতে করিয়া। নন্দিনীরে দেয় সুর ভরিয়া ভরিয়ণ ॥ হাপৃসি কন্যা মদ্য পান করে কুতুহলে। আমায় করিতে তুষ্ট মিষ্ট কথা বলে । মির্শ ও সায়েদ সনে করে পরিহাস । মাতিল হপসিনীদোহেকেপুরবে অাশ৷ বাড়া বাড়ি দেখি শেষ সহিতে না পারি। কথার কৌশলে দোহে কত তিরস্কারি ॥ রুষ্ট বাক্য শুনিয়া রুষিল দুষ্টমতি । ধরিল ৰিকৃত মূৰ্ত্তি ভয়ঙ্কর অতি ৷ ক্রোধে কহে রাজকন্যা ওরে দুরাচার । সততার এই বুঝি যোগ্য ব্যবহার ॥ কৃপা করি দুই জনে দেই প্রাণ দান । তার প্রতিফল বুঝি ওরে বেইমান ॥ প্রেমে অপমান এত করিলি অামার ! জান না এখনি প্রাণ বধিব দোহার। অামাকে তাকীয়ে কহে শুন দুরাশয় । এরীতি পিরিতে কেন নাহি মনে ভয় ॥ হশ্নর লাবণ্যবতী যৌবনের তরি। কি চক্ষে দেখিস্ তীরে হতাদর করি ॥ নিন্দিস আমায় তুই কিসের কারণে। কি কলঙ্ক আছে মোর এনব যৌবনে ॥