পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস । বাহুল্য বপের ছটা না করে যুবতী । বিন অভরণে ধনী অতি রূপবতী ॥ রজনী হইলে মন্ত্রী কন্যারে লইয়া । অাবলের গৃহ দ্বারে আইল রাখিয়ণ ॥ দ্বারে দাড়াইয়। নারী করে করাঘাত । শব্দ শুনি দ্বারী দ্বার খুলে তৎক্ষণাং ॥ বিনোদ শয্যায় যুব ছিলেন শয়নে । যায় যুবতীরে নিয় তাহার সদনে ॥ রমণী দেখিয়া যুব উঠে দাড়াইল । করে ধরি সমাদরে কাছে বসাইল ॥ জিজ্ঞাসা করিল “কহ কিসের লাগিয়া । মম গৃহে পদার্পণ করিলে আসিয়া । মন্ত্রী বালা বলে “শুন বণিক কুমার । ভুবন জুড়িয়া শুনি প্রশংসা তোমার। স্বজন ভাজন তুমি কহে সৰ্ব্ব জনে । অতএব আসিয়াছি তব দরশনে’ ॥ ধনীর মধুর ধ্বনি সাধু শ্রুত মাত্র । উথলিল কামসিন্ধু শিহরিল গা দ্ৰ ৷ সে স্থধ-মুখের বাণী করিলে শ্রবণ । সাধুর সাধুত্ব আর থাকে কি কখন ॥ ঈষত্ হাসিয়া ধনী ঘোমটা বরিল । মেঘাচ্ছন্ন শশী যেন ঘরে প্রকাশিল । যখন একপ রূপ তযু বল হেরিল । পরনারী প্রতি ঘৃণা কোথায় রহিল ॥ মোহিত হইয়া কহে “শুন সুধা-মুখি । কাহাকেও নাহি দেখি মমতুল্য স্থখী । তা জি কিবা সুপ্রসন্ন ভাগ্য ভাবি মনে পবিত্র হইল গৃহ তব পদাপণে । রমণীর করে ধরি বণিক নন্দন । অন্য ঘরে লয়ে যায় করিতে ভোজন ॥ মদ্যমাংস খাদ্য দ্রব্য কত তথা ছিল । অtসিয়া সুন্দরী সহ অtহারে বসিল ৷ যুবতীকে দেখি পাছে কেহ টের পায় । এই ভয়ে দাসগণে করিল বিদায় । ২৫ নিজে দিল খাদ্যবস্থ পরম কৌতুকে । মণিময় পাত্রে সুরা রাখিল সম্মুখে ॥ প্রতিক্ষণ রামাপ্রতি প্রতীক্ষণ করে । অন্তরের ভাব তার রাখয়ে অন্তরে ॥ স্বভাবতঃ সে নারীর নাহি অন্য ভাব । তথাপি যুবার মনে উঠে নানা ভাব ॥ যত দেখে তত যুব মোহিত হইল । পলক না ফেলে অ (র চাহিয়া থাকিল ৷ প্রেমাভ ষে যত ভাষে তাহার সহিত । উত্তরে রমণী করে ততই মোহিত ॥ ভোজনন্তে যুবতীর ধরি পদদ্বয় । সকাতরে সবিনয়ে সাধু-সূত কয় ॥ “ শুনলো সুন্দরী হরিয়াছ মন রাজ্য । এবে অধিকার করি কর প্রিয় কাৰ্য্য ৷ প্রথমে বিন্ধিয়াছিল কেবল লোচনে । এখন হৃদয় জয় করিলে বচনে ॥ অদ্যাবধি তব দাস জানিবে অামায় । প্রাণ মন সঁপিলান তোমার সেবায় ॥ ইহণ বলি চম্ব দিল যুবতীর করে । অমনি রমণী তীয় সভয়ে শিহরে ॥ অ তঙ্কে সুবর্ণ বর্ণ বিবর্ণ হইল । নয়নেতে বারি ধারা বহিতে লাগিল ॥ বিস্ময় হইয়। যুবা জিজ্ঞাসে তখনি । “এভাব ধরিলে কেন মৃধাংশুবদনি ॥ কি লাগি হইল তব বিরস বদন । সত্য কহ কেন তুমি করিছ রোদন ॥ দেখিয়া মলিন মুখ বিদরে হৃদয় । তিলেকে হইল কেন এভাব উদয় ॥ কিবা জানি অপরাধ হয়েছে আমার । এজন্য নয়নে মীর বহিছে তোমার ॥ কিম্বা মোর কোন এক অযুক্ত বা নে । অভিমানে বহে বরি তোমার লে চনে” এতেক শুনিয়া কহে মন্ত্রীর কুমারী। ,"তোম কে ছলন। আর করিতে না পারি।