পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (প্রথম ভাগ).djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

كيكيض= = ك جدة প্রথম পরিচ্ছেদ “উনি তোমার কে ?” ষে কুটীরের নিকটস্থ বৃক্ষতলে বসিয়া হেমচন্দ্র বিশ্রাম করিতেছিলেন, সেই কুটারমধ্যে এক পাটনী বাস করিত । কুটারমধ্যে তিনটি ঘর । এক ঘরে পাটনীর পাকাদি সমাপন হইত। অপর ঘরে পাটনীর পত্নী শিশুসন্তানসকল লইয়া শয়ন করিত। তৃতীয় স্বরে পাটনীর যুবতী কন্তা রত্নময়ী আর অপর দুইটি স্ত্রীলোক শয়ন করিয়াছিল। সেই দুইটি স্ত্রীলোক পাঠক মহাশয়ের কিট পরিচিত ; মৃণালিনী আর গিরিজায়া, নবদ্বীপে অন্যত্র আশ্রয় না পাইয়া এই স্থানে আশ্রয় লইয়াছিলেন । একে একে তিনটি স্ত্রীলোক প্রভাতে জাগরিত হইল। প্রথমে রত্নময়ী জাগিল । গিরিজায়াকে সম্বোধন করিয়া কহিল,—“সই !” গ্নি । কি সই ? র। তুমি কোথায় সই ? গি । বিছানাসই । র। উঠ না সই ! গি । না সই ৷ র। গায়ে জল দিব সই ? গি । জলসই ? ভাল সই, তাও সই । র। নহিলে ছাড়ি কই । গি। ছাড়িবে কেন সই ? তুমি আমার -শ্রীণের সই—তোমার মত আছে কই ? তুমি པོ་ཧྥུ་ཅི་རྣ রসমই—তোমায় ন কইলে আর কারে f : র। কথায় সই তুমি চিরজই ; আমি তোমার কাছে ৰোবা হই, আর মিলাইতে পারি কই ? গি। আরও মিল চাই ? র । তোমার মুখে ছাই, আর মিলে কাজ নাই, গোষি কাজে যাই ।

  • .

ষ্ট্র এই বলিয়া রত্নময়ী গৃহকৰ্ম্মে গেল। মৃণালিনী এ পৰ্য্যস্ত কোন কথা কহেন নাই। এখন গিরিজায়া ং উাহাকে সম্বোধন করিয়া কহিল,-“ঠাকুরাণী ”, জাগিয়াছ ?” _ মৃণালিনী কহিলেন, “জাগিয়াই আছি। জাগিয়াই -- থাকি f ஒ গি । কি তাবিতেছিলে ? মৃ । যাহা তাবি ৷ - গিরিজায়। তখন গম্ভীরভাবে কহিল, “কি করিব ? আমার দোষ নাই । আমি শুনিয়াছি, তিনি এই নগরমধ্যে আছেন, এ পর্ষ্যন্ত সন্ধান পাই নাই । কিন্তু আমরা ত সবে দুই তিন দিন আসিয়াছি । শীঘ্র সন্ধান করিব ? মৃ । গিরিজায়া, যদি এ নগরে সন্ধান না পাই, তবে যে এই পাটনীর গৃহে মুতু্য পৰ্য্যন্ত বাস করিতে হইবে । আমার যে যাইবার স্থান নাই । মৃণালিনী উপাধীনে মুখ লুকাইলেন। গিরিজায়ারও গণ্ডে নীরবক্রত অশ্র বহিতে লাগিল । এমন সময়ে রত্নময়ী শশব্যস্তে গৃহমধ্যে আসিয়া কহিল, “সই ! সই! দেখিয়া যাও । আমাদের বটতলায় কে ঘুমাইতেছে। আশ্চৰ্য্য পুরুষ !” গিরিজায় কুটারদ্বারে দেখিতে আসিল । মুণ। লিনীও কুটারদ্বার পর্য্যস্ত আসুিঞ্জা দেখিলেন। উভয়েই দৃষ্টিমাত্র চিনিল । : সাগর একেবারে উছলিয়া উঠিল । মৃণালিনী গিরিজায়াকে আলিঙ্গন করিলেন। গিরিজায়া গায়িল,— “কণ্টকে গঠিল বিধি মৃণাল অধমে ।” সেই ধ্বনি স্বপ্লবৎ হেমচন্দ্রের কর্ণে প্রবেশ করিয়াছিল। মৃণালিনী গিরিজায়ার কণ্ঠক ধুম্বন দেখিয়া কহিলেন,—“চুপ, রাক্ষসি, আমাদিগের দেখা দেওয়া হইবে না, ঐ উনি জাগরিত হইতেছেন, এই অন্তরাল হইতে দেখ, উনি কি করেন। উনি যেখানে যান, অদৃশুভারে দূরে থাকিয়া উহার সঙ্গে যাও।-এ কি ! উহার অঙ্গ রক্তময় দেখিতেছি কেন ? চল, তবে আমিও সঙ্গে চলিলাম : হেমচন্দ্রের ঘুম তাঙ্গিয়াছিল। প্রাতঃকাগ"উপ স্থিত দেখিয়া তিনি শূলদণ্ডে ভর করিয়া গায়োখান করিলেন এবং ধীরে ধীরে গৃহাভিমুখে চলিলেন । হেমচন্দ্র কিয়দর গেলে, মৃণালিনী আর গিরিজায় তাহার অমুসরণার্থ গৃহ হইতে নিক্রোস্ত হইলেন । তখন রত্নময়ী জিজ্ঞাসা করিল,—“ঠাকুরাণি, উনি তোমার কে ?” মৃণালিনী কছিলেন, “দেবতা জানেন ।”