বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెల বঙ্কিম-প্রসঙ্গ চিরকাল স্মরণ রাখিব । তিনি লিখিয়াছেন,—ঐ ঘটনাটি আমার মুখে শুনিয়াছেন । সে আজ অনেকদিনের কথা, প্রায় ৩৪.৩৫ বৎসর হইবে । ১৮৮১ সালে আমার সহিত র্তাহার দেখাশুনা হয়। এই দীর্ঘকালে যে আমার পিতৃদেবের কথাটি তাহার স্মরণ আছে, ইহা আশ্চর্য্যের বিষয় । কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নিজের ভিন্ন পরের কথা ভালরূপ স্মরণ থাকা সম্ভব নহে, এজন্য এ ঘটনার সম্বন্ধে তাহার দুই একটি ভুল হইয়াছে। আমাদের পিতৃদেব প্রতিভাশালী ব্যক্তি ছিলেন। আমরা তাহার সম্বন্ধে সেকালের প্রাচীন ও প্রাচীনাদের মুখে অনেক কথা শুনিয়াছি। ঐ গল্পগুলি এখানে বিবৃত করিতে আমার সাহস হয় না ; কেন না, ঐগুলি আলৌকিক ঘটনায় জড়িত। তবে এইরূপ ঘটনাতে বুঝা যায় যে, সাধারণের ধারণ ছিল যে, পিতৃদেব বাল্যকাল হইতে দেবভক্ত ছিলেন, এবং দেবত র্তাহার প্রতি প্রসন্ন ছিলেন। বোধ হয়, এই ভক্তির জন্তই ভগবান তাহাকে অষ্টাদশ বৎসর বয়সেই এক মহাপুরুষের দ্বারা দীক্ষিত করিয়াছিলেন। পণ্ডিতরাজ যাদবেশ্বর তাহার প্রবন্ধে দীক্ষা সম্বন্ধে বিশেষ কিছু লেখেন নাই। ঐ মহাপুরুষের দ্বারা পিতৃদেবের দীক্ষা হওয়াতে, এই গল্পটি আমাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে প্রচলিত ছিল ও আছে, এবং আমিও পণ্ডিতরাজকে ও ডাক্তার কে, ডি, ঘোষকে বলিয়া থাকিব। প্রায় नःिश्रैव छ्ड्रेट, দীনবন্ধুবাবুর ষষ্ঠ পুত্র ত্রমান ললিতচন্দ্র এই ঘটনাটি “মানসী” পত্রিকায় লিখিয়াছিলেন, কিন্তু তাহ তাহার শুনা কথা। আমিং যাহা নিম্নে লিখিব, তাহাও আমার গুনা কথা ।