বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Φ ο 3 বঙ্কিমন্থতি তাহার উচ্চ উদার রাজনীতি জ্ঞানের মূলে বিজাতীয় স্বার্থ পরতা লুকাইত। তিনি সুবিধামত বাছিয়া বাছিয়া রাজপুতানার ক্ষত্রিয় রাজকুমারাদিগকে আপন অন্তঃপুরে গ্রহণ করিয়াছেন, এতে স্বার্থপরতাই প্রকাশ পায়; উদারতার লেশমাত্র ইহাতে । খুজিয়া পাওয়া যায় না। যদি দেখিতে পাওয়া যাইত যে, আকৃবর মোগল-রাজকুমারীদের সঙ্গে হিন্দু ক্ষত্রিয় রাজকুমারদের পরিণয় ব্যবহার চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা হইলেও একদিন মনে করা বাইত যে, তিনি সমদৰ্শী ছিলেন। সমাজ ও শাসন বিষয়ে আকবর স্বার্থপরতাপুষ্ট অসাধারণ শক্তিসমর্থের পরিচালনায় কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন মাত্র।” উপরে কথিত সভার পরদিন প্রাতঃকালে তামি তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলাম। আমাকে দেখিয়া হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “আপনি কাল আমায় খুব বাচাইয়াছেন। এত লোকের জনতা হবে জানলে কি আমি যেতুেম ? আমি মনে করেছিলুম, ডিবেটিং ক্লাবের মত অল্প লোক হবে, সেখানে রবিবাবু প্রবন্ধ পড়বেন। পরে আমি দু’ দশ কথায় আমার মন্তব্য শেষ করিব। এ কি ভয়ানক বিরাট ব্যাপার! আমাদের দেশে মিটাংগুলি কি ঐ রকমই হয় ?” এই “ঐ রকম” কথায় অর্থ এই যে, সে দিন গ্রীষ্মকালের অপরাহ্নে জেনারেল এসেম্বিলীর স্বল্পায়তনে হলে লোকে লোকারণ্য হইয়াছিল। বিদ্যালয়ের ছাত্র হইতে আরম্ভ করিয়া দেশের শিক্ষিত গণ্যমান্ত সাহিত্যিকগণ উপস্থিত হইয়াছিলেন। সেই সভায় বহুলোক অতিকষ্টে একপল