বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

డిసి Se यत्रन-नि । [ ৩য় বৃৰ্য, শ্রাবণ । করিতে হইলে—বৃহৎ ব্ৰহ্মাও এবং ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে ঐক্য কিরূপ, এবং সে ঐক্য বৃহৎ ব্ৰহ্মাও হইতে ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডে কিরূপেই ৰা সংক্রামিত হয়, তাহার প্রতি বিধিমতে অনুসন্ধান প্রয়োগ করা কর্তব্য । আমরা প্রত্যেকে এক-একটি ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাও ; এবং সমস্ত ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাও ক্রোড়ে করিয়া যে এক নিখিল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড স্বর্গমর্ত্যপাতাল ব্যাপিয়া বিরাজমান, তাহাই বৃহৎ, ব্ৰহ্মাও । কাজেই দাড়াইতেছে যে, ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ডের যথাসৰ্ব্বস্ব যাহা কিছু আছে, সমস্তই বৃহৎ ব্ৰহ্মাও হইতে ধার করিয়া পাওয়া। তার সাক্ষী মঙ্গুষ্যের উদরভাওে যে তণ্ডুলাম রহিয়াছে, তাহা ধান্তক্ষেত্রেরই তণ্ডুল ; মহুষ্যের রক্তে যে জল রহিয়াছে, তাহ সমুদ্রেরই জল ; মনুষ্যের শরীরে যে তেজ রহিয়াছে, তাহ অগ্নিরই তেজ ; মনুষ্যের নাসিকাপথ দিয়া যে বায়ু যাতায়াত করিতেছে, তাহ বহিরাকাশেরই বায়ু। এ তে সকলেরই একপ্রকার দেখা কথা ; তা ছাড়া, বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতেরা বলেন এই যে, প্রথমে পৃথিবী । উচ্ছ মুল ভৌতিক শক্তিসকলের ক্রীড়াক্ষেত্র ছিল। ক্রমে পৃথিবীতে ভৌতিক শক্তির উন্মত্ত নৃত্যলীলার সঙ্গে সঙ্গে অল্প অল্প করিয়া জীবনী শক্তির উন্মেষ হইতে লাগিল । উদ্ভিদ । জন্মিবার পুৰ্ব্বে পৃথিবীতে শুদ্ধকেবল ভৌতিক শক্তির দল, সংক্ষেপে—ভূতের দল, দাপাদাপি করিয়া বেড়াইতেছিল, তাহার পরে যখন উদ্ভিদের আদিম স্তর পঙ্কশয্যা হইতে অল্পে অল্পে গাত্রোথান করিয়া জলস্থলের অন্ধিসন্ধি প্রদেশসকল খামলচ্ছদে আবরণ করিতে লাগিল এবং তাহার পরে সেই নুতন ব্যাপারটি যখন জলের কিনারা হইতে ক্রমে ক্রমে ডাঙা বাহিয়৷ উঠিয়া দেশবিদেশ ব্যাপিয়া দলে দলে সাজিয়া দাড়াইতে লাগিল, তখন পৃখিবী একবিধ শক্তির পরিবর্তে দ্বিবিধ শক্তির লীলাক্ষেত্র হইল—ভৌতিক শক্তি এবং জীবনী শক্তি, এই দুইপ্রকার শক্তির লীলাক্ষেত্র হইল। তাহার পরে যখন উদ্ভিদশ্রেণী নানা বর্ণের ফলফুলপল্লবের বিচিত্র বেশে সজ্জিত হইতে লাগিল এবং জলচর, ভূচর, খেচর প্রভৃতি নানা জন্তু পক্ষ হইতে, অও হইতে, জরায়ু হইতে, কালে-কালে বাহির হইয়া পালে-পালে বিচরণ করিতে লাগিল, আর, সেই সঙ্গে গিরি-গুহা-অরণ্য গর্জনরবে এবং বৃংহিতরবে, গহন বন ঝিল্লী-রবে, পুষ্পমঞ্জরী গুঞ্জরিত রবে, লতাকুঞ্জ কুজিত রবে, তৃণ-তুমি হম্বারবে, বিস্তীর্ণ প্রাস্তর ক্রুেষারবে শব্দীয়মান হইতে লাগিল, তখন পৃথিবী দ্বিবিধ শক্তির পরিবর্তে ত্ৰিবিধ শক্তির লীলাক্ষেত্র হইল—ভৌতিক শক্তি, জীবনী শক্তি এৰং চেতনাশক্তি, এই তিনপ্রকার শক্তির লীলাক্ষেত্র হইল। সৰ্ব্বশেষে যখন মনুষ্য বাহির হইয়। প্রথমে হামাগুড়ি দিতে লাগিল, এবং ক্রমে উন্নতমস্তকে দণ্ডায়মান হইয়া চারিদিক্ নিরীক্ষণ করিয়া গন্তব্যপথে চলিতে লাগিল এবং তাহার পরে যখন বিচারবিবেচনা এবং যুক্তি খাটাইয়া সমস্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ণ করিতে আরম্ভ করিল, তখন পৃথিবী ত্ৰিবিধ শক্তির পরিবর্তে চতুৰ্ব্বিধ শক্তির লীলাক্ষেত্র হইল—ভৌতিক শক্তি, জীবনী শক্তি, চেতনাশক্তি এবং ধীশক্তি, এই চারিপ্রকার শক্তির ক্রীড়ণক্ষেত্র হইল। এই যে চারিপ্রকার শক্তি—ভৌতিক শক্তি, জীবনী শক্তি, চেতনাশক্তি এবং ধীশক্তি, এ