পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] খুৰাযুৰি । ఇ8S যে লোক জলে পড়িয়াছে, ডাঙা হইতে তাহাকে চিল ছুড়িয়া মারা সহজ। অপরপক্ষের সে মার ফিরাইয়া দেওয়া শক্ত । এরূপ স্থলে কোন পক্ষকে কাপুরুষ বলিব ? যে মারে, না যে মার ফিরাইয়া দেয় না ? ইংরাজের পক্ষে ভারতবর্ষীয়কে মারা নিতান্ত সহজ—কেবল তাহার গায়ে জোর আছে বলিয় যে, তাহী নহে । সে ও একটা কারণ বটে, কিন্তু সে কারণকে উপেক্ষা করা যাইতে পারে। তাহার বাহুবল বেশি, কিন্তু তাহার পশ্চাভের বল মারো অনেক বেশি । তাহার দৃশুশক্তির সঙ্গে লড়াই চলে, কিন্তু তাহার অদৃগুশক্তি অত্যন্ত প্রবল । আমি যেমন একটি মানুষ, সে-ও যদি তেমনি একটি মানুষমাত্র হইত, তবে আমরা কতকটা সমকক্ষ হই তাম । কিন্তু এস্থলে আমি একটি ব্যক্তিমাত্র, আর সে ইংরাজ, সে রাজশক্তি । বিচার কালে, মানুষ বলিয়। আমার বিচার হইবে, আর তাহার বিচার হইবে ইংরাজ বলিয়া । আর, আমি যখন ইংরাজকে মারি, তখন বিচারক সেটাকে এই বলিয়া দেখে যে, ভারতবর্ষের রাজশক্তিকে আমি আঘাত করিলাম— ইংরাজের প্রেষ্টিজকে আমি ক্ষুঃ করিলাম — অতএব সামান্ত আঘাতকারী বলিয়া আমার বিচার হয় না । আমাদের মধ্যে এই গুরুতর অসমকক্ষতা আছে বলিয়াই যে মার থায়, তাহার চেয়ে যে মারে, সেই কাপুরুষ বেশি । এই কাপুরুষতার জন্ত ইংরাজ আঘাতকারী বিচারে নিস্কৃতি পাইয়াও যদি স্বজাতির কাছে ধিক্কারলাভ করিত, তাহ হইলে তাহতেও আমরা একটু ৰণ পাইতাম । কিন্তু দেখিতে পাই, উলট৷ 영 তাহার বেশি করিয়া সোহাগ পাইয়া থাকে । তাহীদের জন্ত চাদ ওঠে, স্বজাতীয় কাগজে আহ-উহুর অস্ত থাকে না । অ্যাংলোইণ্ডিয়ায় এইরূপ কাপুরুষতার জন্য কেবল প্রকাশু্যে ভিক্টোরিয়া ক্রস দেওয়া হয় না, এই পৰ্য্যন্ত । সম্প্রতি একজন দেশি লোককে খুন করিয়া মাটিন বলিয়। একজন ইংরাজের দ্বিতীয়বার বিচারে তিনবৎসর জেল হইয়াছে। ইহার পর হইতে ইংলিশম্যান প্রভৃতি কাগজে কিরূপ আতঙ্কের অাৰ্বনাদ উঠিয়াছে, তাহার নিম্নলিখিত নমুনাটি কৌতুকজনক – There are some things that foreign Governments, and even Native States in India, manage better than we do ; one of these is the protection of their own kith and kin, and the maintenance of that prestige so necessary for upholding constituted authority. To thc disinter ested observer in India, it seems that the white man is becoming very much discounted under the regis of the British “Raj.” Time was when the Britisher, as conqueror and ruler of this land, enjoyed certain rights and privileges, and one of thcse was his right to be tried by jury. Quite recently we have had the spectacle of the unanimous verdicts of juries, acquitting Europeans, charged with offences triable by these tribunals, sct aside, not because there was amy outcry against such acquittals, or on the application of the prosecution, but on appeal by the Government against the acquittal. To quote one specific instance, we may refer to the trial of Mr., Rose,