বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] কোন আশা-ভরসা ছিল না, আমার পুত্রটি আর বেঁচে নেই বলে’ যখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছিল, ভখনি আমি পূজনীয়া মাতাজির কাছে এই বাকৃসোটি লুকিয়ে রাখি । তিনি যতদিন বেঁচেছিলেন, অামাকে স্বপরামর্শ দিতেন -এখন এই নাও, তোমাকে আমি সেই বাক্সোটি দিচ্চি ; কেন না, বেশ বুঝতে পরিচি, তোমাকে ঈশ্বরই আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তোমার হাতেই তাই এটি বিশ্বাস করে” দিলেম । হয় তো তুমি কৃতকাৰ্য্য হ’তে পারবে ;–বার জন্য আমি কেঁদে-কেঁদে বেড়াচ্চি, হয় তো তুমি তাকে সন্ধান করে’ বের করতে পারবে ।” ঠিক এই সময়ে, একজন বৃদ্ধ সন্ন্যাসী, সেই যুবক সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী— এই দুই জনের মধ্যে আসিয়া দাড়াইলেন । ভয়ে দুইজনই কঁাপিতে লাগিল । ইনি সন্ন্যাসি-বাবা ‘জী” ( জন গভীর কণ্ঠস্বরে বিড় বিড় করিয়া বলিলেন – “এখানে কি করচ সন্ন্যাসি-ভাই ? আর “তুমি ভগিনি, এত স্থান থাকৃতে বেছেবেছে এই স্বরঙ্গ-গহবরে স্তুতিপাঠের জন্য কেন এসেছু বল দিকি ?” এই শেষ কথাগুলি বলিবার সমর, বিদ্ধপের একটু হাসি যেন তায় মুখুে দেখা দিয়াছিল । সন্ন্যাসিনী বিঙ্গীতভাবে উত্তর করিলেন —“সন্ন্যালি-বাবা, আমার কথা না শুনেই আমাকে অপরাধী করবেন না। আমাকে অবশু আপনি চেনেন না। কেন না, * মঠে যখন আমি প্রথম প্রবেশ করি, তখন থেকেই আমি এখানে একৃলা থাকৃবার অসুতাপিনী সন্ন্যাসিনী । ” ૨૮ . অল্পমতি পাই । আমার দৈনিক কৰ্ত্তব্য শেষ । করে”, আমার নির্দিষ্ট কোটরটির মধ্যে একলা থাকৃভে আমার ভাল লাগে। আমার যে-স্বামীকে গুপ্তহত্য করেছে, আমার ষে-পুত্রটিকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গেছে, সেই দুজনের জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করাই আমার এখন একমাত্র । স্বথ ও সাত্বনা । “আমাদের সেই মাতাজিকে হারিয়ে অবধি, এতদিনের পর আজি অামি তার কবরের সম্মুখে আমার দুঃখ নিবেদন করতে এসেছি...সন্ন্যাসি-বাবা, আমার উপর কোন ৷ কু-সন্দেহ করবেন না ! আমি সন্ন্যাসি- “ ভগিনী ‘মারী থেরেশ” ।” - সন্ন্যাসি-বাবা বলিরা উঠিলেন –“কি ! তুমি মারী-থেরেশ ?” তাহার চোখে বিদ্যুৎ ছুটিল ; তাহার সমস্ত শরীরে ‘খেচুনী’-রোগ্লের ন্যায় - কম্প উপস্থিত হইল । সন্ন্যাসিনীকে তিনি মনোযোগ-সহকারে নিরীক্ষণ করিতে লাগি- , লেন । পরে, সহসা উত্তেজিত হইয়া, তাহার হস্ত সজোরে ধরিয়া বলিতে লাগলেন – “তুমি কেটি’ ? ( ক্যাথেরাইন-নামের অপুত্ৰংশ ) সেই তুমি, যাকে আঁমি এত তালবাসতেম ? তুমি আমাকে কাপুরুষ বলে’, হতভাগা বলে’, নরাধম বলে কতইনা ঘৃণা করেছ, তবু তোমাকে আমি ভালবেসেছি, দুই বৎসর ধরে তোমাকে আমি সমস্ত দেশময় খুজে বেড়িয়েচি। অবশেষে, ষে সময়ে তুমি সন্ন্যাসত্রতের প্রতিজ্ঞ भा? করছিলে, সেই সময়ে তোমাকে আমি দেখতে পেলেম.কিন্তু ষে সময়ে তোমাকে