বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૧૦ স্বল্প তৈজসপদার্থ-নিখিল মাকাশে পরিব্যাপ্ত ছিল : সেই স্বস্থঙ্ক তৈজসপদার্থ হইতে পৃথিব্যাদি লোকমণ্ডল প্রস্থত হইল । পৃথিবী স্বৰ্য্য হইতে নীচে নাবিয়া আসিয়াছে অনেকদুর পর্য্যন্ত —স্বৰ্য্য পৃথিবীর প্রাণকে উপরের দিকে অর্থাৎ আপনার দিকে টানিতেছে"। তা’র সাক্ষী—বৃক্ষেদের মূল বা মস্তক ৰদি-চ ভূগর্ত্তে প্রোথিত রহিয়াছে, তথাপি বৃক্ষেরা উৰ্দ্ধে হাত-পা ছুড়িয়া আকাশের অভিমুখে ডালপালা বিকীর্ণ না করিয়া ক্ষণন্ত থাকিতে পারে না। বৃক্ষের ভূগৰ্ত্ত হইতে মুল, বা মাথা বাহির করিতে পারে লা— সপেরা কিন্তু তাহ পারে । তবে কিন? ঘপের পৃথিবীর সঙ্গে লপট-লপটি-ভাবে চলাফেরা করে। পখাদি জন্তুর কেহ বা সরুসরু দুই স্তম্ভে ভর করিয়া পৃথিবী হইতে অলগ হইয়। জাড়ায়—যেমন সারসপক্ষী ; কেহ বা মোটামোট চারি স্তম্ভে ভর করিয়৷ পৃথিবী হইতে অলগ হইয়া দাড়ায়—যেমন হস্তা। জীবগণের মধ্যে মঙ্গুষ্যই কেবল একাকী পূর্ণমাত্রায় পৃথিবী হুইতে মাথা উচ করিয়া দাড়ায় । মঙ্গুষ্যের মস্তক যেমন পুথিবা হইতে উদ্ধে উঠিয় দাড়াইয়া মঙ্গুষ্যের অপার্থিব বিশেষত্বের পরিচয় প্রদান করে, মকুষ্যের চাওয়াও তেমনি পৃথিবী হইতে উদ্ধে উন্মুখ হইয়। মকুষ্যের অপার্থিব বিশেষত্ত্বের পরিচয়প্রদাল করে । মমুষ্যের মাধ্যাত্মিক প্রাণের চা ওয়৷ স্বস্তুবতই দুই দিকে দোড়ে—মমুষ্যের দিকে এবং পরমেশ্বরের দিকে । .মঙ্গুষ্যের চক্ষের চাওক্ষা ও তাছার সঙ্গে গোড় দিয়া সম্মুখে মন্থষ্যের চক্ষুর প্রতি এৰং উৰ্দ্ধমুখে ঈশ্বরের চক্ষুর বঙ্গদর্শন । , [ ৩য় বৰ্ষ, অগ্রহায়ণ । <वंङि ख्धांझठे रुग्न । पञांब्र, भै छूहे निरकब्र वृ8िচালনা-কার্য্য যাহাতে মুনিৰ্ব্বাহ হইতে পারে, তাহার মতো একটা দীপ-ব্যবস্থাও মজুষ্যশরীরে অাছে । অশ্বগবাদির দুই চক্ষু তাছাদের ললাটের দুই পাশ্বে অীড়াআড়ি ভাবে বসানো রহিয়াছে—ইহা সকলেরই দেখ। কথা। কেবল মকুষ্যের এবং মনুষ্যাকৃতি জীবের দুই চক্ষু ললাটের সম্মুখে এক পংক্তিতে বসানো রহিয়াছে দেখিতে পাওয়া যায় । জ্ঞাতি ভাইদিগের পরস্পরকে পরস্পরের চক্ষের চা ওয়ার মধ্য দিয়া মলের চা ওরা জানানো চাই—তাই মনুষ্য এবং মস্থষ্যাকৃতি জীবদিগের দুই চক্ষু সন্মুখদৃষ্টির উপযোগী করিয়া ললাটের মধ্যস্থলে একপংক্তিতে BBBBS BBS BBBBB 0 BBBBB BB বিশেষ একটি দ্রষ্টব্য এই যে, জাতিভাইদিগের সহিত সম্মুখদৃষ্টি চালাচালি করিতে বানরদিগকে ও দেখা যায় ; কিন্তু ঈশ্বরোদেশে উদ্ধে দৃষ্টি প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে আর-কোনো জীবকেই দেখা যায় ন। --স ওয়ায় মনুষ্য । কাজেই বলিতে হয় যে, ক্রমধ্যস্থিত তৃতীয়চক্ষুর উদ্ধদৃষ্টি নমুষের একটি স্বজাতীয় বিশেষত্ব । তবে কিনা, মনুষ্য সবে-কে বল হামাগুড়ি ছাড়িয়া মাথা উচু করিয়া দাড়াইতে শুিঞ্চি য়াছে—এখনো মসুয্যের তৃতীয়চক্ষু ভাল কল্পিক্স ফোটে নাই । ‘ ফলে ও দেখিতে পা ওয়া যায় যে, মঙ্গুষ্যের চাওয়ার যতটা টান মঙ্গুষ্যের চক্ষুর প্রতি, তার লিকির লিকি টান ও ঈশ্বরের চক্ষুর প্রক্তি এখনো লোকসমাজে জন্মে নাই। মনুষ্যের চক্ষুর প্রতি চাহিয়া মনুষ্য কি না করে r মস্থব্যের চক্ষুর প্রতি চাহির ধৌদ্ধ হেলায় প্রাণ