পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ध\ल* ज९*)\ \ } "ক্ষন্ধ করে। দিনের অালোকে, মলিন নরনারীর মধ্যে, ধুলা, শুষ্ক যমুনা, রেলের চীৎকার, ইংরাজের মুৰ্ত্তিমান কৰ্ম্মবেগ রেলগাড়ির দৌড়ের মধ্যে, কালের পরিহাসপুর্ণ লীলার মধ্যে—তাজমহলটাকে বড়ই বাহুল্য বলিয়। মনে হর । সমস্ত মাজুষের সঙ্গে সহাঙ্গভূতির রসে এই মৰ্ম্মরের রঙীন লতাপাতা উপচিত নয় । সমস্ত সংসারের সঙ্গে সমভূমিতে না দাড়াইরা কবরটি যেন একটা উচ্চ জমির উপর দাড়াইয়াছে । ইহার Harmonious সৌষ্ঠব, ইছার নিষ্কলঙ্ক শুভ্রতা, ইহার বিরল চিত্ৰবিলাস-সমস্ত লইয়া ইহা যেন আমাদিগকে বাহিরে ঠেলিয়। রাখিতে চায় । বিশেষত বুদ্ধগয়ায় পুজার ভাবে আচ্ছন্ন নরনারীর ভক্তিপূর্ণ লীলায় তরঙ্গায়িত অশোক-রোলিংএর চিত্রমাল আগে দেখিয়া আসিয়াছিলাম বলিয়৷ তাজমহলের বিলাসের ভাবটাতে এত ব্যথা পাইয়াছিলাম । মনে হয়, চারিদিক হইতে সমস্ত বাজার, সমস্ত লোক উঠাইয়া দিরা একটি নির্জন প্রান্তরের মধ্যে রাখিয়t দিলেই তাজমহলের ক্ষান্তউৎসায় উৎসমুখগুলির রুদ্ধ শোকের প্রতি কতকটা সম্মান করা হয় । এটা বড় নিষ্ঠুর ভাব । কিন্তু রাত্রে Hg2IH NGAJ Ettwig Perfect harmonyfö যখন মনকে জড়াইয়া ধরে, তখন তাজকে আর নিজীবঙ্গবে, পাখিবভাবে দেখিবার জো নাই। তখন তাঞ্জকে বাহুল্যবজ্জিত একটি নিগুঢ় গীতের মত করিয়া অনুভব কম্বিতে रेक्ष হয় । বিশেষত আমি যখন দুরে আছি, তখন সেই ভাবেই তাজকে বেশি মনে পড়ে । জামি সেই . ভাৰটিই আমার

爱 পরলোকগত সতীশচন্দ্র রায় । , eść কবিতাটিতে প্রকাশ করিতে চেষ্টা করিয়াছি । এই গেল আমার মনের কথাটা—এখন কবিতার সৌভব কতদূর হইয়াছে, সে সম্বন্ধে আপনার কথায় অপেক্ষার রহিলাম । এবার দিল্লি, অtংগ্ৰা, গয়া, কাশী প্রভূতি স্থান দেখিয়া মনে আরও অনেক ভাব উঠিয়াছে—বাস্তবিক ৮ দিনের মধ্যে যেন খানিকট বাড়িয়া উঠিয়াছি । * * * বুদ্ধগয়ায় যখন অশোক-রেলিং দেখিলাম —রাঙt পাথরে যক্ষ আঁকা, যক্ষী অণক1– নান করুণার দৃশু আঁকা—বাড়িটি গাছপালায় ঢাকা, নির্জন—চারিদিকে শু প—একজন জাপানী penitent জাপান হইতে প্রেরিত বুদ্ধের কাছে থাকে— তিববত হইতে, সিমলা হইতে গরীব-দুঃখী আসিয়া বাস করিতেছে—বৰ্ম্ম হইতে কতগুলি ঘণ্টা উপহার পাঠাইয়াছে—তখন মনে হইল, এই ভারতবর্ষের একটি ছায়tঢাকা গ্রামের মধ্যে একটি করুণার উৎস আছে— কক্ষে কলস লইয়া সমস্ত এসিয়-স্বন্দরী সেথানে তৃষ্ণ মিটাইতে আসিয়াছে। মন্দিরের মধ্যে সোনায় পাতে ঢাকা বৌদ্ধমূৰ্ত্তি দেখিয়া হৃদয় এমন ভাবে নড়িয়া উঠিল যে, তেমন হৃৎকম্প আমি পূৰ্ব্বে কখনো অনুভব করি নাই । - কিন্তু বুদ্ধদেব আজ স্তম্ভিত । আপনি যে হিমালয়সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, সেইরূপ আজ —“সে প্রচণ্ড গতি অবসান ৷” এই প্রচণ্ড করুণার উৎসটির স্তম্ভিত গাজীৰ্য্যের নাড়া প্রাণে অনুভব করিয়াছি । অম্ভকার পৃথিবীর