পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊांशांशे-शठी . y এল, এ পাস বিরজামোহন যখন নগদ দেড়হাজার টাকার যৌতুকসহ সালঙ্কার বালিকা-পত্নী মুকুমারীকে বিবাহ করিয়া গৃহে লইয়া যান, তার পর তিন বৎসর উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। শ্বশুর বিনোদলাল বক্ষ মাৰ্চেণ্ট আফিসে প্রৌঢ়বয়স পর্য্যন্ত কেরাণীগিরি করিয়া যাহা কিছু সঞ্চয় করিয়াছিলেন, কন্যার বিবাহোপলক্ষে তাহ নিঃশেষিত হইয়া গিয়াছিল। অতএব এই তিনটা বছর র্তাহার সাম্‌লাইয়া উঠিতে গেল। বলা বাহুল্য, ইহার ভিতর পূজাপাৰ্ব্বণে জামাতার যথাসাধ্য তত্ত্ব তল্লাস করিতে তিনি ক্রটি করেন নাই, কিন্তু তাহাতে নগদ সোণরূপার সম্পর্ক না থাকাতে বেহাই এবং বেহাইনের মন উঠে নাই। সন্ত্রীক বিনোদলাল সহজেই নুতন কুটুম্বের বিরাগভাব বুঝিতে পারিলেন, কিন্তু তাহার কোন কারণ অনুমান করিয়া উঠিতে পারিলেন না। ফলত সেকালে যেমন “পিসিলোকের দুঃখ কেবল পিসিলোকেই বুঝিত, নরলোকে বুঝিত না,” একালে তেমনি পাস্করা ছেলেদের জনক এবং জননীঠাকুরাণীদের রাগ-বিরাগ বুঝিয়া উঠা সচরাচর মনুষ্যবুদ্ধির অতীত। তা সে যেম নই হউক, বিবাহের পর দুইবার বিনোদ- தி: লাল জামাতাকে ষষ্ঠীবাটার সময় গৃহে আনি । বার চেষ্টা করিয়াছিলেন, পড়াশুনার ক্ষঞ্জি We & ওছিলায় বৈবাহিক মহাশয় তাহাতে অমত করেন। কিন্তু ছেলে এবার বি, এ, পাস দিয়া আইনের পড়া পড়িতেছে, পূর্কের আপত্তি আর খাটে না। এদিকে গৃহিণী বলিতেছেন যে, তার পুত্রটি যখন ছোট ছোট হুইট পাস দিয়াছিল, তখনই নগদ দেড়হাজার টাকা মৰ্য্যাদাস্বরূপ গৃহজাত হয়। বিরজং এখন আরো একটা বড়গোছের পাস দিয়া । দুই বছরে বড় আদালতের উকীল হইবে, এখন অন্তত হাজার টাকা দর্শনী না পাইলে তিনি বাছাকে পুরের বাড়ী-মুখে इहेड দিবেন না, তা বা শ্বশুরবাড়ী। শুনিয়া বিরজার চরণ দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া ৰঞ্জি সেইজন্যেই তখন বলেছিলুম, গিরি, দুটো বছর অপেক্ষা কর, বি, এ, পাস্ট হয়ে যাক্ ! দেখ না, মধুর ছেলে, সে আমার বিরুর চেয়ে কিসে ভাল ? —বরং দেখতে একটু কাল। তা সে বি, এ, পাস দিয়ে বিবাহ করাতেই না অলঙ্কার ও বরাভরণ ছাড়া নগদ চারটি হাজার টাকা— টীকৃশালের নতুন আমদানী—মধুমিত্তির সভাস্থলে সেদিন গুণে নিলে!” শুনিয়া গৃহিণী কিছু উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন এবং কুটুম্বগৃহের প্রেরিত দাসীকে দিয়া বলিয়া পাঠাইলেন,"একটা হীরার ভাল আংটি বিরুকে না মাইষষ্ঠীতে তার যাওয়া হইবে না।”