পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা 3 शबभ' *२ २ ¢9 বলিয়া বোধ হয়। কোন কোন ক্ষত্ৰিয়নেপদের অধিবাসিগণ ক্রিয়ালোপে ক্রমে त्रयनए याख श्ब्र, भक-यदनानि नाय्म কথিত হইবার যে আভাস প্রাচীন” স্মৃতিতে প্রাপ্ত হওয়া যায়, পুরাণ তদ্বিপরীত এক কৌতুকাবহ আখ্যায়িকা রচনা করিয়া, দবনাদির উৎপত্তি বর্ণনা করিয়াছেন। পৌরাণিক মতে তাহা সগর রাজার শাসনসময়ের ঘটনা । তৎকালে বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্রের মধ্যে যে কলহ উপস্থিত হয়, তাহাতে বশিষ্ঠের উত্তেজনায় সগর রাজা শক-যবনাদি জাতিকে নানা তাড়ন করিয়া, ভারতবর্ষ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেন । ইহার সহিত জনপদের কোন সংস্রব নাই ; ক্রমশ ক্রিয়ালোপে শূদ্রত্নপ্রাপ্তিরও কোন প্রসঙ্গ নাই ; রাজাদেশে সহস৷ ক্রিয়ালোপ ও নিৰ্ব্বাসনদগুলাভের উল্লেখ আছে । স্মৰ্ত্তিশিরোমণি নব্যস্মৃতির “প্রায়শ্চিত্ততত্ত্বে" এই পৌরাণিক আখ্যায়িক গ্রহণ করিয়া, “যুবন”শব্দের বর্ণবিদ্যাসে বর্গীয় জকার প্রচলিত করিয়া, তন্দ্রীর মোসলমানকেও যবনজাতির অন্তর্নিবিষ্ট করিয়া গিয়াছেন ; এবং স্বমতসমর্থনকামনার এই পৌরাণিক বার্তার উল্লেখ করিয়াছেন। যথা :– সগরগুtং প্রতিজ্ঞঞ্চ গুরে।বাক্যং নিশম্য চ | ধৰ্ম্মং জঘন তেষাং বৈ বেশান্যত্বং চকার হ ॥ অৰ্দ্ধং শঙ্কানাং শিরসে মুওয়িত্ব ব্যসঞ্জয়ৎ । যবনানাং শিরঃ সৰ্ব্বং কাম্বোজানাং তথৈব চ | পারদ মুক্তকেশাশ্চ পর্তুবাঃ শ্মশ্রুধারিণঃ। নিঃস্বাধ্যায়ৰঘটুকারা: কুতাস্তেন মহাত্মন৷ শকযবনকাম্বোজাং পারঙ্গাঃ পত্নবাস্তথা। কোলিসৰ্প সমহিষী কাশ্চোলা সকেরল f:1 বশিষ্ঠষচলঞ্জাজন, সগরেণ মহাত্মন! ! এই পৌরাণিক আখ্যায়িক উদ্ধৃত করিবার সময়েও শক-বনাদি ৰে ক্ষত্রিয়জনপদের অধিবাসী ছিল, স্মাৰ্ত্তশিরোমণি তাহ স্বীকার করিয়া লিখিয়া গিয়াছেন : “শ কানাং শকদেশোদ্ভবানী ক্ষত্রিয়াণামৃ এবং যবন।দীনামিতি ।” এই ব্যাখ্যা পাণিনিসম্মত ও পুরাতন ঐতিহাসিক তথ্যের অনুমোদিত। কিন্তু ইহাতে স্মাৰ্ত্তশিরোমণির উদ্ধত পৌরাণিক প্রমাণের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষিত হয় নাই। পৌরাণিকমতানুসারে শক-যুবনাদি ভারতবর্ষেই বাস করিত ; সগর রাজা তাহাদিগকে নিৰ্ব্বাসিত করেন । শক-যবনাদি যদি ক্ষত্ৰিয়-জনপদোদ্ভূত মনুষ্য বলিয়া গৃহীত হয়, তাহ হইলে সে ক্ষত্রিয়জনপদ ভারতবর্ষের অভাস্তরেই বর্তমান ছিল । তাহা কদাপি সঙ্গত বলিয়। গ্রহণ করা যায় না । স্মাৰ্ত্তশিরোমণির সময়ে বঙ্গদেশ মোসলমানের অধিকারভুক্ত থাকায়, নানা কারণে হিন্দুসমাজভুক্ত লোকের সহিত মোসলমানদিগের সংস্রব সংঘটিত। হইত। তাহাতে পান-আহারে মোসলমানসংস্পর্শ উপস্থিত হইলে, প্রায়শ্চিত্তের অনুষ্ঠান করা আবশ্রাক হইত। প্রায়শ্চিত্তবিধি ংস্থাপনার্থ স্মাৰ্ত্তশিরোমণি পুরাণ ও পুরাতন স্মৃতি অবলম্বন করিয়া মোসলমানের নাম বা অস্তিত্ব আবিষ্কারে সক্ষম হন নাই। কারণ প্রাচীন স্মৃতি বিধিবদ্ধ হইবার সময়ে মোসলমানের আদৌ অস্তিত্ব ছিল না। তিনি মোসলমানগণকে “যবন” কল্পনা করিয়া, প্রাচীন স্মৃতির দোহাই দিয়া, যবনসংস্পর্শদোষের প্রায়শ্চিত্তবিধিকেই মোসলমানসংস্পর্শদোষের প্রায়শ্চিত্তবিধি বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন ।