পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যt. ] , $ब्रन । ՀԱՓ কাবে এবং মালবিকাগ্নিমিত্ৰাদি দৃশ্যকাৰ্যে প্ৰবন"ন্ধের উল্লেখ প্রাপ্ত হওয়া যায়।. জাৰ্য্যাবর্তে “ষবন”শকের যে অর্থ প্রচলিত ছিল, বঙ্গদেশে তাহার কিছু পরিবর্তন সাধিত হুইয়াছিল । খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষে মোসলমান যখন বঙ্গদেশে অধিকারবিস্তারে অগ্রসর হন, তখন র্তাহারা বাঙালীর নিকট ঘবননামেই পরিচিত হইরাছিলেন। সেনংশাবতংস, মহারাজ বিশ্বরূপ সেনের তাম্রশাসনে ইহার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । তিনি “গৰ্গযবনাম্বল্পপ্রলয়কালরুদ্রো নৃপঃ” বলিয়া তাম্রশাসনলিপিতে আত্মপরিচয় প্রদান করিয়া গিয়াছেন। স্মর্তশিরোমণি এই বঙ্গদেশপ্রচলিত অর্থ গ্রহণ করিয়াই বার্গিক জ ব্যবহারের ব্যবস্থা দান করিয়া থাকিবেন। এই অর্থ, বঙ্গদেশে প্রচলিত হইলেও, পুরাতন ংস্কৃতসাহিত্যে অপরিচিত। পুরাতন গ্রন্থে ব৷ অভিধানে এরূপ অর্থ প্রাপ্ত হওয়া যায় না । রামায়ণ, মহাভারত ও বিষ্ণুপুরাণাদি গ্রন্থে ববনের যে উৎপত্তিবর্ণনা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহ বশিষ্ঠ-বিশ্বামিত্রের কলহ- , কাহিনীর সহিত সংযুক্ত থাকায়, নানা রূপাস্তর প্রাপ্ত হইয়াছে। মহাভারতের নানা স্থানে নানা ভাবে এই আখ্যারিকা বর্ণিত হইয়াছে। একটি বর্ণনা এইরূপ । একদা ক্ষত্রিয় রাজা বিশ্বামিত্র ব্রাহ্মণ-তাপস বশিষ্ঠের আশ্রমে আতিথ্যস্বীকার করিয়৷ তাছার নন্দিনীনামী ধেনু হরণের চেষ্টা করায়, বশিষ্ঠতপঃপ্রভাবরক্ষিত নঙ্গিনীর মূত্রাদি হইতে শক-যবনাদি উদ্ভূত হইয়া বিশ্বামিত্রকে তাড়িত করিয়া দেয় । অন্তক্ৰ মহাভারতেই এই মাখ্যাক্সিক্লা কিঞ্চিৎ রূপান্তর श्झेब्रां८छ् ; G किरू ननिनैौ हरेटङ *क-श्वनांनिद्र फे९*खिকাহিনী পরিবৰ্ত্তিত হয় নাই। এই সকল আখ্যায়িকায় যে “ববনের” উল্লেখ আছে, তদ্বারা কোন জনপদ সুচিত হয় না; যুদ্ধকুশল বীরজাতি বলিয় “যবনের” পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু “যবন* যে একটি জনপদবিশেষের নাম, কোন কোন শ্লোকে সে কথারও আভাস প্রাপ্ত হওয়া যার। বিষ্ণুপুরাণে ভারতবর্ষের সীমানির্দেশে ভারতভূমির পশ্চিমস্থ জনপদের নাম “ধবন" বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। মহাভারতের কর্ণপৰ্ব্বেও ইহার আভাস আছে। সুতরাং পৌরাণিক যুগে “যবন”জনপদের নাম সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হইরাছিল বলিরা বোধ হয় না। কেবল তদেশবাসিগণের উৎপত্তিবর্ণনার জন্ত কতকগুলি আখ্যায়িক উল্লিখিত হইয়াছিল। তাহার মূলে কোন ঐতিহাসিক তথ্য প্রচ্ছন্নভাবে বর্তমান থাকিলেও, এখন আর তাহার উদ্ধারসাধনের সম্ভাবনা নাই । “যবন"জনপদ ভারতবর্ষের বাহিরে, পশ্চিমাংশে অবস্থিত ; সে জনপদে যাহারা বাস করিয়া "যবন”নামে পরিচিত হইয়াছিল, তাহারা তদেশের আদিম অধিবাসী, কিংবা ভারতবর্ষ হইতে নিৰ্ব্বাসিত অভিনব ঔপনিবেশিক মাত্র,– তাহার মীমাংসা করাও नश्स्र दविाब्रl cवां५ श्ब्र न । भशङांज्ञ८ङ्गब्ब আদিপর্কে যযাতিপুত্র তুৰ্ব্বস্বর বংশোদ্ভব বলিয়। “ঘবনে”র উল্লেখ আছে। তাহ সত্য হইলে, “ষবন” ভারতবর্ষ হইতে ক্রমে পশ্চিমাঞ্চলে নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছিল বলিয়া স্বীকার করিতে হয় । মালবিকাগ্নিমিত্রে সিন্ধুনদের দক্ষিণতীরে