পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○め8 আত্মা ব্যক্তস্ফূৰ্ত্তি-সমন্বিত রূপে প্রকাশ পান। ষে জায়গাটিতে আত্মা ব্যক্তস্ফূৰ্ত্তিসমম্বিত, সেই জায়গাটিই আত্মার জ্ঞেয়-স্থান; ষে জায়গাটিতে আত্মা অব্যক্ত-শক্তির আশ্রয়ভূমি,অথবা যাহা একই কথা—যে জায়গাটিতে আত্মা ক্রিয়াস্ফূৰ্ত্তিসমূহের লগ্নস্থান বা সমাধিস্থান, সেই জায়গাটিই আত্মার জ্ঞাতৃস্থান ; আর, যে জায়গাটি ব্যক্তাবাক্তের সন্ধিস্থান, অর্থাৎ যে জায়গাটিতে আত্মা ব্যক্তাব্যক্তউভয়প্রকার শক্তিস্ফূৰ্ত্তি-সমন্বিত রূপে প্রকাশ পা’ল—সেই জায়গাটিই আত্মার জ্ঞানস্থান- আর সেই জায়গাটিতে আত্মজ্ঞান প্রকাশিত হয় । অfস্বজ্ঞানের কাঠিন্য কোনখানটিতে, তাহ এখন বলিবামাত্রই বুঝিতে পারা যাইবে—যিনি জ্ঞাত, তিনিই জ্ঞেয়—যিনি ব্যক্তব্যক্ত-উভয়প্রকার-শক্তিসমন্বিত, তিনিই ব্যক্তশক্তি-সমন্বিত— এটা বুঝিলে সহজ, না বুঝিলে কঠিন ; এই বঙ্গদর্শন । [ ২য় বর্ষ, আশ্বিন । খানেই আত্মজ্ঞানের কাঠিন্য। পাঠকের প্রতি সবিনয় নিবেদন এই, বুঝিবর جه إلى ঝাইবার সুবিধার জন্ত-সময় এবং কাগজ বাচাইবার জন্ত--আমি স্থানে স্থানে রূপকচ্ছলে ভাবপ্রকাশ করিতে বাধ্য হইয়াছি ; ইহ দেখিয়া তিনি যেন এরূপ মনে না করেন যে, তাহী রূপক ছাড়া আর কিছুই নহে । উপরে অামি বলিলাম, “এ জায়গায় আত্ম৷ অমুক—ও জায়গায় আত্মা অমুক” ইত্যাদি । এখানে জায়গা-শব্দের অর্থ যে কি, তাহ। বুঝিতেই পারা যাইতেছে । যদি এরূপ কেহ থাকেন—যিনি উপরি-উক্ত স্থলে জায়গা-শব্দে প্রকৃতপক্ষেই জায়গা বা স্থান বুঝিয়া বসিয়া আছেন—তবে তাহার প্রতি আমার বক্তব্য এই যে, বর্তমান প্রবন্ধের গন্তব্য-পথে আরকিছুদূর অগ্রসর হইলে তাহার ভ্রম ঘুচিয়া যাইবে ;—আপাতত যাহা তিনি বোঝেন, তাহাই বুঝিয়া সস্তুষ্ট থাকুন। ঐদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর । শুভক্ষণ । আকাশে গহন মেঘে গভীর গজন, শ্রাবণের ধারাপাতে প্লাবিত ভুবন । ও কি এতটুকু নামে সোহাগের ভরে ডাকিলে আমারে তুমি ! পূর্ণ নাম ধরে আজি ডাকিবার দিন ; এ হেন সময় সরম-সোহাগ-হাঁসি-কৌতুকের নয় ! অণধার অম্বর, পৃথ্বী পথচিত্নহান, এল চিরজীবনের পরিচয়দিন'