পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅՀԵ ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর বাটতে আগমন করিতেন । মহারাজা যখন চন্দননগরে আসিতেন, তখন তিনি চৌধুরী মহাশয়ের প্রাসাদে অবস্থান করিতেন । হালদারগণ নিজ সমাজের সর্বময় কৰ্ত্ত হইলেও নবদ্বীপাধিপতির নিকট তৃণবৎ, তাহার আর সন্দেহ নাই । বিশেষত সমগ্র বঙ্গদেশের শীর্ষস্থান নবদ্বীপের সমাজপতি মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র চন্দননগরের ক্ষুদ্র সমাজের ঈর্ষাজনিত কলহবিবাদের কথায় কর্ণপাত করিবেন, ইহা মনে করাও বাতুলের কৰ্ম্ম । ভারতচন্দ্রের অনুরোধে একদিন ইন্দ্রনারায়ণ কবিবরকে মহারাজার নিকট পরিচিত করিয়া দিলেন । গুণগ্ৰাহী মহারাজ। মুহূৰ্ত্তমধ্যে বুঝিতে পারিলেন বে, ভারতচন্দ্র "ভারতচন্দ্র”ই বটেন। অনন্যসাধারণ-প্রতি ভাশালী কবিবর মহারাজার অনুরোধে মুখে মুখে যে সকল কবিতা রচনা করিতে লাগিলেন, তাছ। বিশেষ প্রতিভাশালী কবিরাও রচনা করিতে পারিলে গৰ্ব্ব অনুভব করিতেন । মহারাজ যতই কবির সহিত বাক্যালাপ করিতে লাগিলেন, ও তই তাহার গুণপনায় মুগ্ধ হইতে লাগিলেন । বাংলা, সংস্কৃত এবং ফারী, এই তিন ভাষাতেই কবি পরমপণ্ডিত। রাজার কৌতুহল যতই উত্ত্বেজিত হইতে লাগিল, তিনি ততই কবির নূতন নুতন কবিতা শুনিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিতে লাগিলেন। ভারতচন্দ্র ও কখনও বাংলায়, কখনও ফারৰীতে, কখনও সংস্কৃতে এবং কখনও বা তিন তাষা একত্র করিরাই কবিত, রচনা করিতে লাগিলেন । রাজার মনে হইল, বুঝি স্বয়ং দেবী সরস্বতী কবির क्छन्नब् नि ! [ ২য় বর্ষ, অগ্রহায়ণ । জিহবায় অধিষ্ঠিত হইয়া বীণাসহযোগে গান করিতেছেন । *. মহারাজার মনে একটি বড় সদিচ্ছা ছিল। তিনি মনে করিয়াছিলেন যে, রাজা বিক্রমাদিত্য যেমন সমস্ত ভারতের পণ্ডিতগণের মধ্য হইতে নয়টি অত্যুজ্জল রত্ন লইয়। নিজের সভার শোভা সম্পাদন করিয়া স্বয়ং চিরস্মরণীয় হইয়া আছেন, তিনিও সেইরূপ সমস্ত পণ্ডিতমণ্ডলীর আশ্রয় হইয়া পণ্ডিতসমাজ নবদ্বীপের রাজসভায় নবরত্ন অtহরণ করিয়া জীবন সার্থক করিবেন । ফলত পুরাকালে মধ্যভারতে মহারাজ বিক্রমাদিত্য এবং অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালে পুৰ্ব্বভারতে নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বেরূপ বিদ্যোৎসাহী ছিলেন, এরূপ বিদ্যোৎসাহ নৃপতি ভূমণ্ডলে আর কখনও জন্মগ্রহণ করিয়াছেন কি না, সন্দেহ। মহারাজার নিতান্ত ইচ্ছা হইল যে, এই অমূল্যরত্ন মহাকবি ভারতচন্দ্রকে নবদ্বীপে প্রতিষ্ঠিত করিয়া তাহার আশা ফলবতী করিবেন। তিনি ইতিপূৰ্ব্বে অনেক কবিকেই আমন্ত্ৰণ করিয়া আনিয়া নবদ্বীপে সংস্থাপিত করিরাছিলেন, কিন্তু বিক্রমাদিত্যের কালিদাসের দ্যায় এমন স্বভাবকবি তাহার রত্নমালামধ্যে এ পর্য্যন্ত গ্রথিত হয় নাই । fতনি ভারতচন্দ্রকে বঙ্গদেশের কালিদাসের পদে প্রতিষ্ঠিত করিতে ইচ্ছা করিলেন, কিন্তু পাছে চৌধুরী মহাশয় এই আশ্রিত ব্ৰাহ্মণকে পরিত্যাগ কয়িতে ইচ্ছা না করেন, এই ভয়ে निष्छङ्ग हेझ निष्छङ्ग भएक्षाहे भभन कब्रिब्रा রাখিলেন । 會 פא ভাগীরথীবক্ষে ইজনারায়ণ চৌধুরীর বাধা