পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ማ8 बछझलमि । [ ২য় বর্ষ, পৌষ । এবং করিবেও, তাহার নাম শক্তি । শক্তিই জ্ঞান এবং সত্তার মাঝপ্নানে দাড়াইয়া ছরের প্রভেদ চিরকাল রক্ষা করিয়া আসিতেছে এবং করিবেও তাহ চিরকাল । শক্তির কার্য্যই হ’চ্চে তাই । এই শক্তির অভ্যাগমনে আমরা ফাক সত্তার বদলে গোটা সত্তা পাইতেছি। গোটা সল্লী হ’চ্চে সত্তা, শক্তি এবং জ্ঞান, তিনই একাধারে । একটি বীণাধন্ত্রের তিনটি তার । বীণাযন্ত্র হ’চ্চে আত্মা ; আর, তাহার তিনটি তার ছ’চ্চে—সত্তা, শক্তি এবং জ্ঞান। এই তিনটি তার পরস্পরের সহিত এরূপ অভেদ-প্রাণ যে, একটিতে অঙ্গুলি কোণ ঠেকাহবামাত্রই তিনটি একসঙ্গে বাজিয় উঠে । তা শুধু নয়-সামান্য বীণাধন্ত্রের তন্ত্রীস্থান হাতের তেলোর মতো চ্যাপূট—এইজন্য কোন তারটি মাঝের তার, এবং কোন দুটি তার পাশ্বের তার, তাছা দেখিবামাত্রই বুঝিতে পারা যায়। পক্ষান্তরে, আলোচ্য বীণাটির তন্ত্রীস্থান বংশখণ্ডের দ্যায় চোঙাকৃতি । এইজন্ত, এ বীণার তিনটি তারের প্রত্যেকটিই মাঝের তার বলিয়া গৃহীত হইতে পারে ; আর যেটিকে যখন মাঝের তার বলিয়া গ্রহণ করা যায়, তখন অপর দুইটি তার সেইটিরই দুই পাশ্বের দুইটি তার হইয়। দাড়ায়। ফলেও দেখিতে পাওয়া যায় যে, কাজের লোকেরা শক্তিকেই মাঝের তার বলিয়৷ গ্ৰহণ করেন-পণ্ডিত লোকেরা জ্ঞানকেই মাঝের তার বলিয়া গ্রহণ করেন— ভাবের লোকের সত্তাকেই মাঝের তার বলিয়া গ্রহণ করেন। শাক্তের নিকটে *ङिहे खर्गन ; ८१कएनब्र निकट छांनहे भख्;ि उत्ख्त्र निको गङ्क ব, বস্তই সার-যেমন “বিশ্বাসে মিলয়ে" বস্তু তর্কে বহুদূর ” যখন শক্তিকে সত্তা এবং জ্ঞানের মধ্যবর্তী বলিয়া ধরা যায়, তখন মনে হয় যে, জ্ঞান অপেক্ষা শক্তি সত্তার নিকটের বস্তু ; তেমনি আবার, যখন জ্ঞানকে শক্তি এবং সত্তার মধ্যবৰ্ত্তী বলিয়া ধয়া যায়, তখন মনে হয় যে, শক্তি অপেক্ষা জ্ঞান সত্তার নিকটের বস্তু । প্রকৃত কথা এই যে, শক্তি এবং জ্ঞান, দুইই সবার সহিত ওতপ্রোত ;—কাজেই দুইকে যদি সত্তা হইতে ভিন্ন করিয়া দেখিতে হয়, তবে উভয়কে সত্ত হইতে সমদূরবর্তী বলাই যুক্তিসঙ্গত ; আর, যদি দুইকে সত্তার সহিত অভিন্নভাবে দেখিতে হয়, তবে তো কথাই নাই ;—তবে সত্তা ও যl, শক্তিও তা, জ্ঞানও তা, তিনই এক হইয়া দাড়ায় । দ্যায়দর্শনের একটি গোড়ার কথাই হ’চ্চে—“শক্তিশক্তিমতোরভেদঃ” শক্তি এবং শক্তিমান দুয়ের মধ্যে প্রভেদ নাই । কথাগুলা বডড দার্শনিক হইয়া পড়িতেছে ; অতএব একটা স্থল উদাহরণ দিতেছি, তাহা হইলেই এখানকার প্রকৃত মন্তব্য কথাটি পাঠকের সুস্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম হইবে । আমার মনোমধ্যে আমি একটা গল্প সাঞ্জাইয়। তাহার রচনায় প্রবৃত্ত হইলাম । গল্পটি সংক্ষেপে এই – অবন্তীরাজ্যের প্রধান মন্ত্রী নানা প্রকার ছলে-বলে-কৌশলে রাজসিংহাসন অধিকার করিলেন এবং অবশেষে আপনার পাকচকে আপনি জড়াইয়া-পড়িয়া অশেষ দুৰ্গতি প্রী হইলেন । .