বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:eశి दछङ्गभर्ने । ७छै वर्ष, जांबांt । আপনার বয়কটু” ইত্যাদি দ্বারা ঘোষণা করিতেছেন, তাহ নিতান্ত ভ্রান্তিমূলক। অন্তত বর্তমান সময়ে ইংরেজবিদ্বেষ অথবা ইংরেজবিদ্বেষের অভিনয় স্বদেশের পক্ষে নিতান্ত ক্ষতিজনক। যেমন গরল হইতে কখন অমৃত উৎপন্থ হয় না, তেমনি বিদ্বেষ হইতে কখন স্বদেশপ্রীতি জন্মায় না । স্বদেশীর প্রতি আমাদের প্রতির এক্ষণও বিলক্ষণ অভাব আছে। এই যে পরাধীনতা,এই যে সহানুভূতিশূন্ত শাসন, যাহার দারুণ আঘাত মাঝে মাঝে আমাদের দেহে ও মনে বড়ই লাগে, তাহার মুলে দেখিবেন—স্বদেশপ্রীতির অভাব। জীবের শক্র জীব,স্বদেশীর শত্র স্বদেশী । হঃখে বা রাগে কেবল বক্তত, শোভাযাত্রা, ছুটাছুট, লাফালাফি না করিয়া আমরা যদি একটু স্থির হইয়া বিবেচনা করি, তাহা হইলে বুঝিতে পারিব, আমরা যে প্লেগে মরিতেছি, সে “প্লেগ আমাদিগের স্বার্থপরতামলপূর্ণ হৃদয়ে। আমরা যদি আমাদিগের নিজের হৃদয়, আমাদিগের ভাইভগ্নীগণের হৃদয়.পরিস্কার করিতে পারি, যদি জাতীয়হদয়ে সৰ্ব্বত্র জ্ঞান ওঁ ধৰ্ম্মের আলো ও বায়ু সঞ্চার করিতে পারি, তাহা হইলে আমাদিগের ভিতর আর প্লেগ, থাকিতে পারে না ;–অধঃপতনের মৃত্যু হইতে আমরা রক্ষা পটুতে পারি। যতদিন ভাই ভাইরে গলায় ছুরি বসাইবে, যতদিন পোড় ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্ত ভাই ভাইয়ের বুকে হাটু দিবে, যতদিন ভাই ভাইকে জ্ঞানান্ধ রাখিয়া এভগবদত্ত རྒྱུན་ཕེ་རྒ་ན་ হইতে বঞ্চিত রাখিবে, তত, নে দেশের কোন মঙ্গলের আশা নাই। আর কিছু বলিবার পূৰ্ব্বে, আনন্দমঠের ল খুটৰা অতি সংক্ষেপে এখানে উল্লেখ করা আবগুক —১২৭৬ সালে ভীষণ স্থর্ভিক্ষে অসংখ্য লোক মরিল । দেশে অরাজকতা উপস্থিত হইল। দস্যগণ নগর ও গ্রাম লুণ্ঠন করিতে লাগিল। ইংরেজ তাহ নিবারণের চেষ্টা করিলেন না, কেবল রাজস্ব-আদায়ে ব্যস্ত থাকিলেন। এই সুযোগে সত্যানন্দ নামে একজন স্বদেশপ্রেমিক সন্ন্যাসী বঙ্গদেশে আবার হিন্দুরাজ্য সংস্থাপন করিবার সঙ্কল্প করিলেন এবং দস্থ্যগণকে সন্ন্যাসিদলে ভুক্ত করিলেন। সত্যানন্দের শিক্ষাগুণে এই দস্থ্যগণ উৎকৃষ্ট যোদ্ধা হইল। ভবানন্দ, জীবানন্দ, জ্ঞানানন্দ—সত্যানন্দের দৃষ্টান্তে ও উপদেশে সুদক্ষ সেনাপতি হইলেন । স্বদেশ, এই সকল যোদ্ধা সন্ন্যাসীর মাতা : সন্ন্যাসিগণ সেই মাতার “সন্তান” । সস্তানব্ৰত লইতে হইলে যাবৎ মার অর্থাৎ স্বদেশের উদ্ধার না হয়, তাবৎ দারীপুত্রগৃহ সকলই ত্যাগ করিতে হয়। মহেন্দ্রনামক একজন জমিদারকে সত্যানন্দ সস্তানব্রতে দক্ষিত করিলেন। ঐ জমিদারের গৃহে কামানবন্দুক গোপনে প্রস্তুত করাইলেন,--অবশেষে ঘোরতর যুদ্ধে ইংরেজকে পরাজিত করিলেন। কিন্তু তাছার গুরু (চিকিৎসক ) সত্যানন্দকে যে উপদেশ দিলেন, তাহাতে সত্যানন্দ হিন্দু রাজত্বসংস্থাপনের চেষ্ট হইতে নিরস্ত হইলেন। ইংরেজের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হইল । এক্ষণে আনন্দমঠের স্বত্রকয়েকটি সংক্ষেপে নির্দেশ করিব— Th ১ । আনন্দমঠের প্রথম সূত্র প্রতি । এতৎসম্বন্ধে যাহা বলা হইয়াছে, এখানে তাহার অধিক বলিবার স্থান নাই । t ২ । দ্বিতীয় স্বত্র ঐক্য। যখন সকলেরই • একই উদেখ, একই বিশ্বাস সজাত হয়, তখন