বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়াছে । ইহা টিয়াপার্থীদের শয়নকাল । এই সব প্রাচীরবদ্ধ সুরক্ষিত নারাঙ্গিগাছের মধ্যেই উহাদের সাধের বাসা । সুরম্য বনভূমি হইতে, সবুজ মেঘের মত উহারা দলেদলে উড়ি আসিতেছে, দেখিতে পাওয়া যায়। এখানকার ম্রিয়মাণ গাছের পাতাগুলি ब्रांछड*श्ञिी । צ8יצ বনরাজি শীতঋতুমুলভ ধূসরবর্ণ ধারণ করিয়াছে; এমন কি, জলেবু ধারেও, সমস্ত উদ্ভিজ্জ “হলদে মারিয়া” যাইতেছে। শুষ্ক বায়ু— দুর্ভিক্ষের বায়ু-সোসে করিয়া বহিতেছে — ইহার জোর যেন ক্রমেই বাড়িতেছে। এই দ্বীপে, এই ধ্বংসাবশেষের মুঞ্জে, সন্ধ্যার বিষাদচ্ছায়া আরো যেন ঘনীভূত হইয়া, ভয় অপেক্ষ উহার বেশী সবুজ। চতুৰ্দ্দিকৃস্থ ও উদ্বেগ বৰ্দ্ধিত করিতেছে। শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর । রাজতপস্বিনী । [ জীবনীপ্রসঙ্গ ] আমাদের বাল্য ও কৈশোরকালে পুটিয়াসমাজে যে গোড় হিন্দুয়ানির আদর্শ দেখিতে পাইতাম, বঙ্গদেশের কোন স্থানে আজিকার দিনে তাহা সম্ভব বলিয়া মনে হয় না । ছাত্রজীবনের প্রথমভাগে যে কঠোর নিয়ম আহারাদিসম্বন্ধে মানিয়া চলিতে আমরা অভ্যস্ত হইয়াছিলাম, কলিকাতার “মেসে” থাকিতে থাকিতে তাহার কতক-কতক শিথিল হইয় গেল। এই সম্বন্ধে একটি গল্প মনে পড়িতেছে। বিশ্ববিদ্যালয় হইতে বিদায়গ্রহণের পর পুটিয়ায় যখন ছিলাম, একদিন দশটার আমলে মহারাণীমাতার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া অন্দরের বাহিরে আসিয়াছি, সম্মুখে দেখি, দ্বিতল বৈঠকখানার মুক্ত বাতায়নে দাড়াইয়া রাজকুমার। ইনি মহারাণীর পোষ্যপুত্র, আমাদের চেয়ে বয়সে কিছু ছোট, তখনও বয়ঃপ্রাপ্ত 6: wE হন নাই। আমায় দেখিয়া কুমার বলিলেন, “শ্ৰীশদাদা, রোজ মাকে দেখিয়া চলিয়া যান, আমার কাছে আসেন না। আজ এইখানে আহার করতে হবে।” বাসায় একটু প্রয়োজন ছিল, বিশেষ কুমারবাহাদুরের মধ্যাহ্লকৃত্য কিছু বিলম্বে ঘটিয়া থাকে জানিয়া স্নানাদির পর প্রায় ১২টার সময় রাজবাটীতে । ফিরির গেলাম । আহারাদির পর কুমারের সঙ্গে গল্প করিতে করিতে বেলা পড়িয়া আসিল। তখন মাতার হরিষ্যান্ধগ্রহণ শেষ হইয়াছে সংবাদ লইয়া অন্দরে গেলাম। দেখি, তিনি বসিবার ঘরে অনাবৃত হুৰ্ম্ম্যতলে ( যেমন সচরাচর বসিতেন), কতকগুলি ব্রাহ্মণবিধবা পরিবৃত হইয়া বসিয়া আছেন। নিজে কোন আসন গ্রহণ করিতেন না, কিন্তু আমরা প্রণাম করিয়া দাড়াইলেই দাসীদের প্রতি আদেশ