বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

લવમ সংখ্যা। ] সংস্কৃতশিক্ষাপ্রণালী। So এমন কি, চন্দ্রালোকে স্বর্চে স্থত পরাইতেওঁ কষ্টবোধ করেন না। সংস্কৃত এবং বাঙল গ্রন্থের তাহার যে সংগ্ৰহ ছিল, তাহ রাজধানীর কোন বৃহৎ পুস্তকালয়ের পক্ষেও গৌরবজনক। সংস্কৃত সামান্য বুঝিতেন, কিন্তু বাঙলায় উল্লেখযোগ, কোন গ্রন্থ তাহার অপঠিত ছিল না । কোন নূতন গ্রন্থ প্রকাশ হইলে সংগ্ৰহ করিয়া উত্তমরূপে ঝুঁধাইয়া লওয়া ও গ্লাসকেসে সাজাইয়া রাখা তাহার জীবনের একটি প্রধান আসিয়া বইগুলি আমি শৃঙ্খলার সহিত সাজাই৷ দিয়াছিলাম এবং একটি তালিকাও প্রস্তুত করিয়াছিলাম। সে যাহা হউক, কৈশোরে মাতৃভাষার পুস্তকরাশির সংস্পর্শে এইরূপে আসিয়া আমি বাঙলাসাহিত্যের স্বাদ পাইয়াছিলাম। ভাল বই হাতে আসিলেই মাতা আমায় পড়িতে দিতেন এবং পাঠ সাঙ্গ হইলে মতামত জিজ্ঞাসা করিতেন। আমিও কবিতা লিথিয়া মাঝে মাঝে তাকে পড়িতে দিতাম। : আনন্দ ছিল। কলিকাতায় যখন কলেজে তাহার অনুমোদন ও উৎসাহ চিরদিন আমায় পড়ি, তখন একবার গ্রীষ্মের ছুটিতে পুঠিয়ায় সাহিত্যালোচনায় অগ্রসর করিয়াছে। @ ॐौशकट्झ मछुभमांब्र । সংস্কৃতশিক্ষাপ্রণালী। কিছুকাল পূৰ্ব্ব হইতে সংস্কৃতশিক্ষাপ্রণালী লইয়া কিঞ্চিৎ আলোচনা চলিতেছে। কয়েকদিন গত হইল, কলিকাতাস্থ সংস্কৃতকলেজে একটি সভা হইয়াছিল, উহাতেও কয়েকজন উচ্চপদস্থ বহুভাষাবিৎ পণ্ডিত এ বিষয় লইয়া কিছুক্ষণ বাদামুবাদ করিয়ুছিলেন। বলা বাহুল্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতশিক্ষাই ইহাদের বিতর্কের বিষয় ছিল, চতুষ্পাঠী বা টোলের সংস্কৃতশিক্ষা উক্ত পণ্ডিতগণের বাদা সুবাদের লক্ষ্য নহে। প্রথম উচ্চারণের কথা । কেহ কেহ বাঙলাপ্রণালীতে সংস্কৃতের উচ্চারণ আদৌ পন্থনা করেন না। কেহ কেহ এ বিষয়ুে সম্পূর্ণ উদাসীন। আমরা বলি, র্যাহার বাঙলা‘প্রণালীতে উচ্চারণের বিরোধী, তাহদের মত স্মৃতিসমীচীন। সংস্কৃত যখন বাঙল,হিন্দী প্রভৃতি ভাষা হইতে সম্পূর্ণ পৃথকৃ, তখন ਸ਼ਾਂ বাঙলার ন্যায় ইহার উচ্চারণ করিলে চলিবে কেন ? উত্তরপশ্চিম প্রদেশ, মধ্যভারতবর্ষ, দক্ষিণাপণ প্রভৃতি সুকল স্থলেই ऋग्ं কলেজে সংস্কৃতশিক্ষা হইয়া থাকে,কিন্তু છે সকল প্রদেশের ছাত্রগণের সংস্কৃত উচ্চারণের সহিত বাঙলাদেশের ছাত্ৰগণের উচ্চারণের কিরূপ প্রভেদ, তাহা যাহারা ঐ সকল প্রদেশে গিয়াছেন, তাহার বিলক্ষণ অবগত আছেন। কাশী, অযোধ্য, প্রয়াগ, পুমা, নাসিক প্রভৃতি স্থানের স্কুলকলেজের ছাত্ৰগণের উচ্চারণ যেমন শ্রুতিমধুর, তেমনই বিশুদ্ধ। ঐ সকল প্রদেশের বিষ্ঠার্থিগণ হ্রস্ব, দীর্ঘ, ণ, ন,জ, য, .ব, ব, শ, ই, ঈ প্রভৃতির উচ্চারণে অতীৰ সাবধান। তদ্ভিন্ন সংযুক্ত বর্ণগুলিও তাহার যথাযথ উচ্চারণ করিয়া থাকে।• .