পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»ፃ8 উঠানে ৫৬টি শিশু বড়গিল্পীর থাস তত্ত্বাবধানে বসিয়া আলুভাতে ফেনাভাত" খাইতেছিল। তিনি উঠিয়া যাওয়াতে তাহারা অন্তমনস্ক হইয়া এদিকৃ-ওদিক্‌ করিতেছিল । একটি ছেলে উঠিয়া-গিয়া একটা বিড়ালের লেজ ধরিয়া টানিতেছিল। বড়গিল্পী তাহাদিগকে ধমক দিয়া বলিলেন, “কিরে ! তোরা থাচ্ছিল না ? ভাত দেখি নড়ে না।” ধমক খাইয় তাহারা আবার ভাত খাইতে আরম্ভ কল্পিল । একটি মেয়ে গালের মধ্যে ভাত পূরিয়া মুখ ভার ফরিয়া বলিল, “বড় মা, তার পর সে কুমীর কি করিল, বল না ?” বড়গিল্পী ভাত খাওয়াইতে খাওয়াইতে একটা টেকি কিরূপে কুমীরত্ব প্রাপ্ত হইয়াছিল, সেই গল্প জুড়িয়া দিয়াছিলেন। তিনি গল্প বন্ধ করিয়া উঠিয়া যাওয়াতে, ছেলেরাও অন্তদিকে মন দিয়াছিল । সুতরাং তাহাদের ভাত না খাওয়ার খুব সন্তোষজনক ওজোর ছিল । তিনি কিন্তু সেই ওজোর একেবারে অগ্রাহ,করিয়া কড়া হুকুম দিলেন –“না, এখন বেলা হইয়াছে, এখন আর কুমীরটুমীরের কথা হবে না। থ, তোরা শগুগির শীগগির খেয়ে ওঠ।” একটি ছেলে বলিল—“টুমীর আবার কি ?” ইহাতে সকলে হারিা উঠিল। বড়গিল্পী ও হাসিয়া বলিলেন--"টুমীর তোর শ্বশুর।” বড়বে। কাদম্বিনীর- একটি নবমবৰ্ষীয়া কন্ত সরলা বাণী প্রস্তুত কুরিবার জন্ত একটি আমের আঁটি ঢ়োর উপর ঘষিতেছিল, আর গানের স্বরে— “কালে কালে ঙ্গের কালো ঘাস খায় । স্নাত্ত হ’লে ভোদূর থেtয়াড়ে যায় ।” বলিতেছিল। তাহার বাণী বাজিতে আরম্ভ বঙ্গলশন । [ ७छै वर्ष, यांवनं । করিল এবং সে আহলাদে অন্যান্ত শিশুদিগের নিকট আসিয়া বাজাইতে লাগিল । এই সময়ে একটি মুসলমানকে বাড়ীর ভিতরে আসিতে দেখিয়া সরলা বলিল—“বড়মা, ঐ দেখ, তোমার ভাই আসিতেছে।” এই কথা শুনিয়া অদ্যান্ত রমণীগণের মধ্যে একটা হাসির রোল পড়িয়া গেল। বড়গিল্পীও হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “ভাই নাত কিলো ? মাগি, তোর সব কথাতেই ঠাট্টা । নামের নাম ধৰ্ম্মসম্পর্কট বুঝি একেবারে তুচ্ছ ?” বড়গিনীর ভ্রাতার নাম গোপাল, সেইজন্ত এই গোপাল সেখ তাহাকে “দিদিঠারুইণ” বলিয়া ডাকে। তিনি ও তাহাকে যথেষ্ট স্নেহ করেন । গোপাল নিকটে আসিলে তিনি বলিলেন—“কিরে গোপাল, তুই কি মনে করিয়া ?” গোপাল সেলাম করিয়া বলিল “দিদিঠারুইণ, মাজ্য। কর্তা খাজনী তলব করছেন, তাই আইছি । কিন্তু আমার হাল ত জানেন । আপনি আমারে কুইড টtহ ক ৰ্জ্জ না দিলি আমি পারি না । আমি কোষ্ঠ জাগ দিছি, ৪৷৫দিলির মধ্যি সেই কোষ্ঠ৷ বেইচ্য আপনার টাছ দিব ।” 哆 বড়গিল্পী। আমার কাছে বুঝি টাকার গাছ আছে, তোরা আস্বি, আর আমি ছিড়ে ছিড়ে দিব ? . এই কথা শুনিয়া যামিনী বলিলেন – “বড়মা, তোমার কাছে টাকার গ্লাছ আছে বৈকি ? তা না থাকিলে তুমি এত টাকা কোথায় পাও? আরে গোপাল, আমি জ্যেঠিমার বাক্সের মধ্যে সেই গাছটা দেখিয়াছি।” . এই কথায় সকলে হাসিয়া উঠিলেন।