বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இல்ல হয়। এইপ্রকার উচ্চারণদোষ না ঘটিতে পারে,তজন্ত ব্যাকরণে প্রত্যেক বর্ণের উচ্চারণস্থান কণ্ঠ, তালু প্রভৃতি নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া; আছে এবং ফ্রস্ব, দীর্ঘ,অল্পপ্রাণ, মহাপ্রাণ এমনভাবে দেখান আছে যে, অন্ত কোন ভাষার বর্ণমালায় এইরূপ বৈজ্ঞানিক সন্নিবেশ দেখিতে পাওয়া যায় না, এইজন্ত আমাদের প্রত্যেক অক্ষরের উচ্চারণসম্বন্ধে নিম্নে আলোচনা করিতেছি । ’ \S বর্ণমূৰ্ত্তির পূৰ্ব্বে মুখ মুদ্রিত করিয়া যে শব্দ করা যায়, তাহা ওঁ হয়। ইহাকে ঋষিগণ শব্দের আদি জ্ঞান করিয়া নিজস্ব করিয়া রাখিয়াছেন ; তাহ ব্রাহ্মণ ব্যতীত অন্য জাতির শিখিবার বা উচ্চারণ করিবার অধিকার নাই । স্বষ্টিতত্ত্বমধ্যে যেমন আকাশ,—যুরোপীয় পণ্ডিতগণ যাহাকে ether বলেন,—শব্বতত্ত্বে ওঁশব্দটি সেইরূপ । ইহাই সৰ্ব্বপ্রকার বর্ণের ভিত্তিভূমি ; যেমন এই দৃপ্তমান জগতের শাবতীয় পদার্থের অবলম্বন আকাশ বা ether, তাহাতেই সকলের স্থিতি, সেইরূপ যাবতীয় অক্ষর বা শব্দ এই ওঁশব্দে স্থিতি করিতেছে এবং তাছারা ইহারই বিভিন্নপ্রকার বিকাশমাত্র। মুখ মুদ্রিত করিয়া ওঁ শঙ্ক করিতে করিতে সাধারণমত মুখবাদান করিলেই অ-অক্ষর ফুরিত হয়, এবং অধিক ব্যাদান করিলে অ হয়, তৎপরে বিভিন্নভাবে মুখবাদান করিলেই, ঈ, উ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ ইত্যাদি শব্দের উৎপত্তি হয়, ইহার উক্ত আদিবর্ণেরই প্রকারান্তরমাত্র। ওঁকার উচ্চারণ করিতে . করিতে মুখমধ্যস্থিত উচ্চারণস্থান ও জিছান্ত্রের বিভিন্নভােব করিয়া মুখবাদান बछछलन । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, শ্রাবণ । করিলে ভিন্ন ভিন্ন অক্ষর স্বচিত হয় । এইপ্রকারে দেখিতেছি,স্বর ব্যঞ্জন উভয় প্রকারের সকল বর্ণেরই ভিত্তিভূমি সেই ওঁকার । পূৰ্ব্বে, এমন কি আমরাও বাল্যকালে দেখিয়াছি, ক খ লিখিতে আরম্ভ করিতেই সৰ্ব্বপ্রথমে একটি বর্ণ লিখিতে হইত, তাহাকে আজি বলিত। ঐ আজিট ওঁ-অক্ষরের খণ্ডরূপমাত্র, কারণ সম্পূর্ণ ওঁ লিখিবার অধিকার ব্রাহ্মণেতর জাতির ছিল না, এবং উহাকে ওঁ না বলিয়া আজি বলিত, কারণ ওঁকার উচ্চারণ করিবার অধিকারও সাধারণের ছিল না । “ভাষাতত্ব” প্রথমখণ্ডে দেখান গিয়াছে যে, উচ্চারণব্যতিক্রমের নিয়মানুসারে দ স্থানে জ উচ্চারণ হয়, যথা—বন্দর = বাজার= বাজার ; মধা = মােঝ, অঙ্ক= আজ, ইত্যাদি। সেইপ্রকারে আদি = আজি ; এইজন্য উক্ত আদি অক্ষরকে আজি বলিত ; এক্ষণে আর বর্ণমালায় সেই আজি-অক্ষরটি নাই। উহার অর্থ কি এবং ব্যবহার কি, তাহা না জানিতে পারির কাজেই আধুনিক ভাষার নেতাগণ তাহাকে বর্ণমালা হইতে তিরোহিত করিতে বাধ্য হইয়াছেন ; কিন্তু এখন দেখিতেছি, উহাকে আদিবর্ণ বলিয়া সৰ্ব্বাগ্রে স্থান দিয়া বর্ণমালার এই মহা-বৈজ্ঞানিক-ভাবটি রক্ষা করা অসঙ্গত নহে । অ অকারের উচ্চারণ দুইপ্রকার—এক স্বাভাবিক, আর তদপেক্ষ মৃত্যু - অনন্ত, অপূৰ্ব্ব, অন্ধ ইত্যাদি শব্দে অকারের উচ্চারণ স্বাভাবিক, কিন্তু অধীন, অকুল, অভিলাষ हेठानि नरक उंशद्र वृषूकांब्रन रहेछ । থাকে। বর্ণবিশেষের কোন কোন জলে