পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

教38 दछं★न ! [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, उiज । সামনে অনাবৃত দেখিলে সঙ্কোচবোধ করেন এবং এইরূপে ছেলেটাকেও নিজের দেহসম্বন্ধে সঙ্কুচিত করিয়া তোলেন। এমুনি করিয়া আমাদের দেশের শিক্ষিতলোকদের মধ্যে একটা কৃত্রিম লজ্জার স্বষ্টি হইতেছে। যে বয়স পৰ্য্যন্ত শরীরসম্বন্ধে আমাদের কোনো কুষ্ঠা থাকা উচিত নয়, সে বয়স আর পার হইতে দিতে পারিতেছি না--- এখন আজন্মকাল মানুষ আমাদেয় পক্ষে লজ্জার বিষয় হইয়া উঠিতেছে। শেষকালে কোন একদিন দেখিব, চৌকিটেবিলের পায় ঢাকা না দেখিলেও আমাদের কর্ণমূল আরক্ত হইতে আরম্ভ হইয়াছে। শুধু লজ্জার উপর দিয়াই যদি যাইত, আক্ষেপ করিতাম না। কিন্তু ইহা পৃথিবীতে হঃখ আনিতেছে। আমাদের লজ্জার দায়ে শিশুরা মিথ্যা কষ্ট পায় ৷ এখনো তাহারা প্রকৃতির খাতক, সভ্যতার ঋণ তাহারা গ্রহণ করিতেই চায় না । কিন্তু বেচারাদের জোর নাই ; এক কাল্লা সম্বল। অভিভাবকদের লজানিবায়ণ ও গৌরববৃদ্ধি করিবার জন্ত লেস ও সিস্কের আবরণে বাতাসের সোহাগ ও আলোকের চুম্বন হইতে বঞ্চিত হইয় তাহার চীৎকারশৰে বধির বিচারকের কর্ণে শিশুজীবনের অভিযোগ উ পিত করিতে থাকে। জানে না, বাপমায়ে একৃজিকুটিভ ও জুড়ীশাল একত্র হওয়াতে তাহার সমস্ত আন্দোলন ও আবেদন বৃথা হইয়া যায়। আরীঃখ অভিভাবকের। অকাললজ্জার স্বষ্টি করিা অনাবগুক উপসর্গ বাড়ানো হইল। যাহারা ভদ্রলোক নহে, সরল শিশুমায়, তাহাদিগকেও একেবারে মুরু হইতেই অর্থহীন ভদ্রতা ধরাইয়া অর্থের অপব্যয় করা আরম্ভ হইল। উলঙ্গতার একটা জুবিধা, তাহার মধ্যে প্রতিযোগিতা নাই। কিন্তু কাপড় । ধরাইলেই সখের মাত্রা, আড়ম্বরের আয়োজন রেষারেষি করিয়া বাড়িয়া চলিতে থাকে। শিশুর নবনীতকোমল সুন্দর দেহু ধনাভিমানপ্রকাশের উপলক্ষ্য হইয়া উঠে ; ভদ্রতার বোঝা অকারণে অপরিমিত হইতে থাকে। এ সমস্ত ডাক্তারির বা অর্থনীতির তর্ক তুলিব না। আমি শিক্ষার দিকৃ হইতে বলিতেছি । মাটি-জল-বাতাস-আলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগ না থাকিলে শরীরের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না । শীতে গ্রীষ্মে কোনেীকালে আমাদের মুখটা ঢাকা থাকে না, তাই আমাদের মুখের চামড় দেহের চামড়ার চেয়ে বেশি শিক্ষিত—অর্থাৎ বাহিরের সঙ্গে কি করিয়া আপনার সামঞ্জস্তরক্ষা করিয়া চলিতে হয়, তাহা সে ঠিক জানে। সে আপনাতেই আপনি সম্পূর্ণ;—তাহাকে কৃত্রিম আশ্রয় প্রায় লইতে হয় না। এ কথা বলা বাহুল্য, আমি ম্যাঞ্চেষ্টারকে ফর্তুর করিবার জন্য ইংরেজের রাজ্যে উলঙ্গত প্রচার করিতে বসি নাই। আমার কথা এই যে, শিক্ষা করিবার একটা বয়স আছে- সেটা বাল্যকাল। সেই সময়টাতে আমাদের শরীরমনের পরিণতিসাধনের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের বাধাবিহীন যোগ থাকা চাই । সে সময়টা ঢাকাঢাকির সময় ময়—তখন সভ্যতা একেবারেই অনাবশুক। কিন্তু সেই বয়স হইতেই শিশুর সঙ্গে সভ্যতার সঙ্গে লড়াই আরম্ভ হইতেছে দেখিয়া বেদনাবোধ করি { শিশু আচ্ছাদন ফেলিয়া দিতে চায়, আমরা