পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা । ] শিবাজী-উৎসব ও ভবানীমূৰ্ত্তি। WSDevSO তাহা হাস্তমুখে গ্রহণ করিয়া থাকেন। ইহুদীরা রোমকশৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়া, খৃষ্টজন্মকালে, এই মহাশক্তিকে,—আপনাদের এই সনাতন spirit of the racetsä of a Messiah aton aféfos ও তাহার প্রতীক্ষায় পরাধীনতার সমুদয় ক্লেশযন্ত্রণ সহ করিয়াছিল। ফরাসীবিপ্লবকালে ফরাসীরা এই মহাশক্তিকেই স্বাধীনতা( liberty ) নামে ভজনা করিয়াছিল, এবং এখনো এই স্বাধীনতার মৰ্ম্মরুমূৰ্ত্তিসমক্ষে দণ্ডায়মান হইয় তাহার এই মহাশক্তিরই ধ্যান করে। জাপানবাসিগণ মিকাডোর মধ্যে আপনাদের এই Race-spiritকেই প্রত্যক্ষ করে, এবং স্বজাতির সনাতন মহাশক্তি ও মহাপ্রাণতার প্রকটমূৰ্ত্তি ও প্রত্যক্ষবিগ্ৰহরূপেই তাহার চরণে আত্মসমর্পণ করিয়া একই সঙ্গে দেশভক্তি ও রাজভক্তির চরম চরিতীৰ্থতা লাভ করিয়া থাকে। এই stầg-f5, te Spirit of the Raceề শিবাজীর নিকটে ভবানীরূপে প্রকাশিত হইয়াছিলেন। 穩 এই ভবানীকে ছাড়িয়া যেমন শিবাজী চরিত্রের নিগূঢ়তত্ত্ব ও তাহার জীবনের মুখ্য লক্ষ্য বোঝা যায় না, সেইরূপ রামদাসকে ছাড়িয়াও তাহ বোঝা সম্ভবপর নহে। ফলত ভবানী ও রামদাস একই বস্তুর দুই দিক মাত্র ছিলেন। বৈষ্ণবতন্ত্রে যে গুরুশক্তিপ্রভাবুে” জীবের পরমপুরুষাৰ্থলাভ झल्लेग्नां থাকে, তাহার দ্বিবিধ স্বরূপ বর্ণিত আছে— এক অন্তর্যামী, আর-এক বহিঃপ্রতিষ্ঠ। অন্তর্যামী গুরুশক্তিকে বৈষ্ণবের চৈত্যগুরু বলেন, বহিঃপ্রতিষ্ঠ গুরুশক্তিকে তাহার মহান্তগুরু বলেন ; আর নিষ্ঠাবান বৈষ্ণবের নিকটে চৈত্যগুরু ও মহান্তগুরু উভয়েই একই কৃষ্ণের স্বরূপ,– কৃষ্ণই অস্কর্যামিরূপে ধৰ্ম্মভাব ও ভক্তিরস অন্তরে ফুরিত করেন, কৃষ্ণই মহান্তরূপে সেই ধৰ্ম্ম ও ভক্তিলাভের উপদেশ দিয়া জীবের পুরুষাৰ্থ প্রদান করিয়া থাকেন। চৈত্যগুরুর প্রকাশ ব্যতিরেকে মহাস্তগুরুর উপদেশের মৰ্ম্মগ্রহণে কেহ সমর্থ হয় না ; আর মহাপ্তগুরুর উপদেশ ও তৎকর্তৃক শক্তিসঞ্চার ব্যতিরেকে চৈত্যগুরুও জাগ্রত হন না। আধুনিক দার্শনিকতত্ত্বে আত্মপ্রত্যয় বা Intuitionএর সঙ্গে বহির্বিষয়ের যে অচ্ছেদ্য অঙ্গাঙ্গিসম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে—বহির্বিষয়ের সাক্ষাৎকার ব্যতীত আত্মপ্রত্যয় জাগ্রত হয় ন, আবার আত্মপ্রত্যয়ের আলোক ব্যতিরেকে বহিবিষয় বুদ্ধিগ্রাহ ও জ্ঞানগম্য হয় না,— আধুনিক দর্শন এই যে সত্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছে, বৈষ্ণবতন্ত্র চৈত্যগুরু ও মহাস্তগুরুর মধ্যে অঙ্গাঙ্গিসম্বন্ধ স্থাপন করিয়া সেই সত্যই প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল। চক্ষুর দৃষ্টিশক্তি ও বাহিরের আলোক, এ দুই যেমন পরস্পরের অপেক্ষ রাখিয়া চলে,—বাহিরের আলোক না থাকিলে চক্ষু যেমন অন্ধ হইয়াই থাকে, আবার চক্ষুর দৃষ্টিশক্তি না থাকিলে বাহিরের আলোক যেমন বস্তুপ্রকাশে সমর্থ হয় না,— সেইরূপ চৈত্যগুরু অন্তরে প্রতিষ্ঠিত না থাকিলে মহান্তগুরু, আচাৰ্য্য বা শিক্ষক কিছুতেই শিষ্যের অন্তরে আত্মপ্রভাব প্রতি ঠিত করিতে পারেন না ; আবার মহাত্তগুরুর সাক্ষাৎকার, তাহার কৃপা ও উপদেশ ব্যতীত অম্বরের চৈত্যগুরুও আত্মপ্রকাশ করিতে পারেন না । চৈত্যগুরু ওক্লশক্তির একাদ্ধ,