পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- कब्र दक्लहे झू:नॉथा । সপ্তম সংখ্যা। ] বঙ্কিমবাবু ও স্বদেশী ইতিহাস । ©ዓ¢ স্বাঙ্গম করিয়াছিলেন ; ঐ যে অভ্ৰভেদী হিমালয়ের তুঙ্গপৃঙ্গ, এই বিশাল ভাগীরথী, ব্ৰহ্মপুত্র, সিন্ধু প্রভৃতি মহানদনদীর তরঙ্গভঙ্গ, আর ঐ দিগ দিগন্ত প্রসারী অরণ্যানীর ভাল মূৰ্ত্তি—কিছুতেই যোগপরায়ণ ভারতবালীর হৃদয় দমিতে পারে নাই। তিনি প্রকৃতির শক্তিপুঞ্জের মধ্যে কখন কবি হইয়া তাহার মহীয়ান ভাব মুখে সম্ভোগ করিতেছেন, কথন বৈদান্তিক হইয় তাহাকে স্বপ্লবৎ অলীক বলিয়া উপেক্ষা করিতেছেন। আর ভারতবাসী, ধোগবলে অতীতকাল জানা যায়, এই বিশ্বাস করিতেন ; অর্থাৎ অতীতকালের যেটুকু তাহার জানা আবগুক, তাহা যোগবলে জানা যায়, তাহার বিশ্বাস ছিল। তাই ইতিহাসরূপ কথাবিশ্যে একটা জ্ঞাতব্যজিনিষ তাহার বোধ হুর মাই। আর একটা বিশেষকারণ অনুভূত হয়। ভারতবাসী ধৰ্ম্মপরায়ণ, দয়ালু, কোমলহৃদয় । ইতিহাসের প্রধান প্রধান ঘটনা, যাহা পাঠকের হৃদয়ে প্রথমেই আঘাত করে, তাহ ধৰ্ম্মের কাহিনী নহে, তাহ পররাজ্যহরণ, অতি বৃহদায়ুতনে পরস্বলুণ্ঠন, নরহত্য, নারীনিগ্রহ, গৃহদাহ ইত্যাদি নানাবিধ ভাবণ অত্যাচারের উৎকট পাপকাহিনী । এই পাপকাহিনীকে লিপিবদ্ধ করিলে, তাহ পাঠ করিয়া উপকারের অপেক্ষা হয় ত অপকার অধিক হইতে পারে। কেন না, যদিও ভগবানের জগতে পাপের দণ্ড অনিবাৰ্য্য ও নিশ্চিত, তথাপি ইতিহাসে পাপের দও ও খুণ্যের পুরস্কার অনুসন্ধান করিয়া বাহির অতীতকালের এই পাপকাহিনীগুলি বাদ দিলে ঘাই থাকে, তাহা ইতিহাস না লিখিলেও পাওয়া যায় { - সুতরাং যাহাকে লোকে ইতিহাস বলিয়া জানে, তাহা না লেখা হইলে জগতের যে একটা মস্ত ক্ষতি হয়, ইহ সাহস করিয়া বলা কঠিন । - দেখুন,ইউরোপে এতদিন ইতিহাস লিখিত হইল, তথাপি ইতিহাসদ্বারা কি নুতন তত্ত্ব উদ্ভাবিত হইয়াছে। নুতন তত্ত্বের কথা দূরে থাকুক, প্রকৃত , ঘটন। যে কি হইয়াছিল, তৎসম্বন্ধে মতৈক্য দেথা যায় না। মনে করুন, সেদিন একটা দাঙ্গ হইয়া গেল, আদালতে মোকদ্দমা হইল, কত সাক্ষীর জবানবন্দী হইল, দুই পক্ষে অতি তীক্ষদশী উকিল বা ব্যারিষ্টার, তাহার উপর সুধীর বিচক্ষণ বিচারক, তথাপি প্রকৃত ঘটনা কি হইয়াছিল, তৎসম্বন্ধে প্রথম-আদালতে যাহা নিম্পত্তি করিলেন, আপীল-আদালতে তাহা ভ্রান্ত বলিয়া স্থির হইল। যখন কল্যকার প্রকৃত ঘটনা স্থির করা এত কঠিন, তখন যাহা অতি প্রাচীন দূরবর্তী কালের কথা, যাহার প্রমাণ অতি হ্রস্ব, অতি সংশয়যুক্ত, নান অভিপ্রায়ে নানা ব্যক্তি ভিন্নভিন্নরকম লিথিয়া যাইতে পারেন, তাহার প্রকৃত তথ্য নিরূপণ করা কত কঠিন । এই কারণে নেপোলিয়ন্‌ বলিয়াছিলেন যে, “যে রূপকথা লোকে মানিয়া লয়, তাহাকে ইতিহাস বলে ।” e 尊 আবার এদিকে দেখুন, হিন্দু যুগযুগান্তরে বিশ্বাস করেন। পরব্রহ্ম স্বষ্টি করিতেছেন, আবার প্রলয় করিতেছেন। যুগ, যুগান্তর, কল্প, এল, মহাপ্রলয়াদি ধরিলে বর্তমান মন্থয্যের