বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারাণসীর অভিমুখে। ఇa(Fūsrūతూ Y মাদ্রাঙ্গে থিওলফিষ্টদের গৃহে । “স্বৰ্গ বিনা ঈশ্বর, আত্মা বিনা অমরত্ব, প্রার্থনা বিনা চিত্তশুদ্ধি”••• -- আমাদের কথাবার্তা যখন থামিয়া গেল, চরম সিদ্ধাস্তের আকারে পরিব্যক্ত উপরি-উক্ত বীজমন্ত্রটি, ঘোর নিস্তব্ধতার মধ্যে, বিষাদগম্ভীরস্বরে আমার কর্ণে যেন ক্রমাগত ধ্বনিত হইতে লাগিল। " গৃহটি নির্জন —ময়দানের উপর, নদীর ধারে, তালীবন ও অপরিচিত একপ্রকার বৃহৎ-জাতীয় পুষ্পরাশির মধ্যে অবস্থিত, এবং সন্ধ্যার বিষাদচ্ছায়ায় আচ্ছন্ন। তখন আমরা গৃহের পুস্তকাগারে ছিলাম । মধ্য' দিয়া ঘরটিতে এখনো বেশ আলো আসিতেছিল ; অল্লে-অল্পে আলো কমিয়া আসিল ; শাশির রঙিন কাচখণ্ডের উপর যে-সব স্বচ্ছপ্রভ ক্ষুদ্র চিত্র ছিল, তাহা ক্রমশ বিলীন হইয়া গেল ;–সমস্ত মানবীয় ধৰ্ম্মমতের বাস্থচিষ্ট্রের এই vিত্রগুলি যেন একটা জাদুঘরে একত্র সংরক্ষিত হইয়াছে ;–খৃষ্টের কুম্ন, সলোমনের মোহর, জিহোবার ত্রিকোণ, শাক্যমুনির পদ্ম, মহাদেবের ত্রিশূল, মিশরদেশীয় আইসিদ্ধেবের চিন্থাবলী। ইহা মাদ্রাজস্থ থিওসফিষ্টদিগের গৃহ। আমি খিওসফিষ্টদিগের সম্বন্ধে অনেক আশ্চৰ্য্য কথা ७निद्मांक्लिांब । विअ चांबि ८ल-शय् झवीा জানলা-শাশির ; বিশ্বাস করি নাই, তবু মনে করিলাম,– দেখি না কেন, উহাদের নিকটে যদি কোন আশার কথা শুনিতে পাই। এই আমার শেষ চেষ্টা। কিন্তু উ হরা আমাকে কি দিতে চাহিলেন, শোনো?--বৌদ্ধধৰ্ম্মের সেই সুবিদিত হৃদয়হীন উদাসীনভাবের কথা,—“আমার নিজের জ্ঞানালোক !” —“প্রার্থনা ?” তাহারা বলিলেন-- “প্রার্থনা গুনিবে কে ?...মামুষের দায়িত্ব মামুষের • নিজের কাছেই । মসুবচন স্মরণ করিয়া দেখ,—‘মনুষ্য একাই জন্মগ্রহণ করে, একাই জীবিত থাকে, একাই মৃত হয়, কেবল ধৰ্ম্মই তাহার অমুগমন করে’...তবে প্রার্থনা শুনিবে কে ? কাহার নিকট প্রার্থনা করিবে, তুমি যখন নিজেই ঈশ্বর ? তোমার আপনার নিকটেই প্রার্থনা করিতে হইবে—তোমার নিজ কৰ্ম্মের দ্বারা ।” আমাদের মধ্যে একটা গভীর নিস্তব্ধতা আসিয়া পড়িল ; এরূপ, বিষাদময় নিস্তব্ধত। আমার জীবনে কখন দেখি নাই। সব নিস্তব্ধ— কেৰল শূন্ত আকাশে একএকটি করিয়া পাতা ঝরিয়া পড়িতৃেছে, তাহারই অস্পষ্ট মৃদ্ধ শব্দ শুনা ৰাইতেছে ; মনে হইল,—ধাহাদের "সতি আমার কথাবার্ত হইতেছিল, তাহাঙ্কে, নিশ্বাসবায়ুতে আমার মনের মধুর ও অস্পষ্ট