বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ममैव नरशां ।। 1 - उठs fकत्र । $44 সঞ্ছিত স্বতন্ত্র হইয়াছে—তাহারা জীবনের শেয়মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত খাটিয়া মরাকে গৌরবের বিষয় মনে করেন নাই—কৰ্ম্মকেই তাহার শেষলক্ষ্য না করিয়া কৰ্ম্মের দ্বার কৰ্ম্মকে ক্ষয় করাই চরম সাধনার বিষয় বলিয়া জানিয়াছিলেন। আত্মার মুক্তিই যে প্রত্যেক মামুষের একমাত্র শ্রেয়, এ বিষয়ে তাহাদের সন্দেহ ছিল না । য়ুরোপে স্বাধীনতার গৌরব সকল সময়েই গাওয়া হইয়া থাকে। এই স্বাধীনতার অর্থ আহরণ করিবার স্বাধীনতা, ভোগ করিবার স্বাধীনতা, কাজ করিবার স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা বড় কম জিনিষ নয়—এ সংসারে ইহাকে রক্ষা করিতে অনেক শক্তি এবং আয়োজন অবিশু্যক হয় । কিন্তু প্রাচীন ভারতবর্ষ ইহার প্রতিও অবজ্ঞা করিয়া বলিয়াছিল—ততঃ কিম্‌! এ স্নাধীনতাকে সে স্বাধীনতা বলিয়াই স্বীকার করে নাই । ভারতবর্ষ কামনার উপরে,—কৰ্ম্মের উপরেও স্বাধীন হইতে চাহিয়াছিল। কিন্তু স্বাধীন হইলাম মনে করিলেই ত স্বাধীন হওয়া যায় না—নিয়ম অর্থাৎ অধীনতার ভিতর দিয়া মা গেলে স্বাধীন হওয়া যায় না। রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতাকে যদি বড় মনে কর, তবে সৈনিকরূপে অধীন হইতে হইবে, বণিকৃরূপে অধীন হইতে হুইবে । ইংলণ্ডে যে ৰত লক্ষ সৈনিক আছে, তাহারা কি স্বাধীন ? মনুষ্যত্বকে যে তাহারা মানুষমার কলে পরিণত করিয়াছে, তাহার সজীব বন্দুকমাত্র। কত লক্ষ মজুর খনির অন্ধ রসাতলে, কার, খালার অগ্নিকুণ্ডে থাকিয়া ইংলণ্ডের রাজ্যত্রর পায়ের তলায় বুকের রক্ত দিয়া আলডা পরাইতেছে—তাহারা কি স্বাধীন ? তাহার ত নিজীব কলের সজীব অঙ্গপ্রত্যয় । যুরোপে স্বাধীনতার ফলভোগ করিতেছে কয়জন ? তবে স্বাধীনতা কাহাকে বল ? অর্থাৎ ব্যক্তিক্সাত্তন্ত্র্য খুরোপের সাধনার বিষয় হইতে পারে, কিন্তু ব্যক্তির পল্পতন্ত্রতা এত বেশি কি অন্যত্র দেখা গ্নিস্লাছে ? ইহার উত্তরে একটা স্বতোবিরোধী কথা বলিতে হয়। পরতন্ত্রতার ভিতর দিয়াই স্বাতন্ত্র্যে যাইবার পথ। বাণিজ্যে তুমি যতবড় লাভের টাকা জানিতে চাও, তত-বড় মূলধনের টাকা ফেলিতে হইবে। টাকা কিছুই খাটিতেছে না, কেবলি লাভ করিতেছে, ইহা হয় না। স্বাতন্ত্র্য তেমুনি স্থদের মত, বিপুল পরতন্ত্রত খাটাইয়া তবে সেইটুকু লাভ হইতেছে—আগাগোড়া সমস্তটাই লাভ, আগাগোড়া সমস্তই স্বাধীনতা, এ কখনো সম্ভবপর নহে । e আমাদের দেশেরও সাধনার বিষ ছিল Individualism—of stЧАЈ 1 frg. G. ত কোনো ছোটখাটো স্বাতন্ত্র্য নয় । সেই স্বাতন্ত্র্যের আদর্শ একেবারে মুক্তিতে গিল্প ঠেকিয়াছে। ভারতবর্ষ প্রত্যেক লোককে জীবনের প্রতিদিনের ভিতর, দিয়া, সমাজের প্রত্যেক সম্বন্ধের ভিতর দিয়ু সেই মুক্তির অধিকার দিবার চেষ্টা করিয়াছে। যুরোপে যেমন কঠোর পরতন্ত্রর্তার ভিতর দিয়া স্নাতন্ত্র, বিকাশ পাইতেছে, আমাদের দেশেও তেমূমি নিয়মসংযমের নিবিড় বন্ধনের ভিতর দিয়াই মুক্তির উপায় নির্দিষ্ট হইয়াছে। সেই মুক্তির $R, পরিণামকে লক্ষ্য হইতে বাদ দিয়া যদি কেবল Individualism