পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه&& ' [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, জগ্ৰছায়ণ। উড়িষ্যার রাজস্ব অত্যস্ত ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছিল। মুর্শিদকুলী হৃদয়বান্‌ লোক ছিলেন,—প্রজারঞ্জন ষে মুখ্য রাজধৰ্ম্ম, ইহা তিনি বুঝিতেন। হৃদয়ের সঙ্গে মীরহবীবের সম্পর্ক বড় ছিল না, কিন্তু প্রভুর চিত্ত তিনি নখদর্পণে দেখিতেন। তাহাকে পরামর্শ দিয়া পুরীরাজকে নিমন্ত্রণ করাইলেন এবং এমন কৌশলে ভয়মিত্রতায় বশীভূত করিয়া লইলেন যে, দওদেব দারুব্রহ্ম সহ পুরীমন্দিরে প্রত্যাগত হইতে আপত্তি করিলেন না। প্রধানত এই ঘটনায় মুর্শিদকুলী ও র্তাহার মন্ত্রী অল্পদিনমধ্যে সমগ্র হিন্দুস্থানে অতীব লোকপ্রিয় হইয়াছিলেন। উড়িষ্যায় বাস্তবিক প্রজার সৰ্ব্ববিধ মুখস্বাচ্ছন্য বিধান করিয়া সকল শ্রেণীর প্রতিপত্তিশালী লোকদিগকে তাহারা অমুরক্তভক্ত করিয়া তুলিয়াছিলেন। গিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে নবাব সরফরাজের সহায়তায় যে সকল বীর অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, মীরহবীব তাহার একজন । কিন্তু তিনি স্বয়ং সমরাঙ্গনে প্রাণপাত করার অপেক্ষা রাজনৈতিক কৌশলে আলিবর্দীকে জীবস্তে পিঞ্জরাবদ্ধ করিয়া প্রভূত অর্থোপার্জনের উপায়চিন্তায় অধিকতর ব্যাপৃত ছিলেন। তীক্ষ্ণধী আলিবর্দীর ইহা অজ্ঞাত ছিল না। মারহীবের বুদ্ধিমত্ত এবং কাৰ্য্যকুশলতার পরিচয় তিনি ‘অনেকবার পাইয়াছিলেন। উত্তরকালে সেই সিরাকুযুবক বঙ্গের ইতিহাসবেলায় পদ্ধাঙ্ক মুদ্রিত করিয়া যাইবেন,ইহা তিনি বুঝিতে পারিয়াছিলেন। গিরিয়ায় বিজয়ক্রতে মণ্ডিত হইয়। তিনি মীরহরীবের খোজখবর कृ८ब्रन नहेि, ७भन नप्र { क्रूि भZऊांब्र वृक সেই যুবকের সমকক্ষ ছিলেন না। সরফরাজ হস্তিপৃষ্ঠে নিহত হইলেন দেখিয়াই মীরহবাঁধ ছদ্মবেশে সদলে রণক্ষেত্র ত্যাগ করিয়া গিয়াছিলেন। বীরধৰ্ম্মী যৌসর্থার মত আত্মোৎসর্গের মহামুভাবকতা তাহার ছিল না । ক্ষমতা এবং বিত্তলোভ মীরহবীবচরিত্রের প্রধান উপকরণ। আলিবর্দী অকস্মাৎ বঙ্গসিংহাসন অধিকার করিয়া তাহার অস্তুরায় হহুয়াছিলেন, সন্দেহ নাই। অতএব নুতন নবাবের প্রতি মৰ্ম্মান্তিক আক্রোশ ও ঘৃণা মীরহরীবের পক্ষে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আর, আলিবর্দীখাকে বিপন্ন, এমন কি, উৎখাত করিবার উদ্দেশে মহারাষ্ট্রীয় অভিধানকে সাদরে আহবান করাও র্তাহার পক্ষে বিচিত্র নহে। সপ্তদশ পরিচ্ছেদ । দুৰ্দ্দানাবেগম নবাব সুজাউদ্দীনের উপযুক্ত কন্ত । তিনি স্ববী-বাঙলার প্রতিভাবান প্রথম নবাব কুলীৰ্থ বা মুর্শিদকুলীৰ্থার একমাত্র দুহিতা জননী জিন্নেতুন্নেসা-বেগমের স্তায় ধৰ্ম্মপরায়ণা ও পতিব্ৰতা ছিলেন, অথচ মাতার দ্যায় স্বামীর চরিত্রদৌৰ্ব্বল্যে বিরক্ত হইয়া হাল ছাড়িয়া দিবার পাত্রী ছিলেন না। মীরহরীবের বুদ্ধিমত্তা এবং কাৰ্য্যকুশলতায় প্ৰভু যেরূপ সন্তুষ্ট ছিলেন, প্রভুপত্নী তদীয় দুর্জয় লোভ ও ধৰ্ম্মজ্ঞানশূন্ততার জন্ত সেই পরিমাণে র্তাহাকে ঘৃণা করিতেন। দূরদর্শী মীরহবীব ইহা জানিতে পারিয়া পুৰ্ব্বাহ্লে সাবধান হইতেছিলেন। প্রভুর করুণার তাহার অশেষ বিশ্বাস থাকিলেও তিনি দীর্ঘকালের সাহচর্য্যে মুর্শিদকুলীকে মেরুদওবিহীন-চরিত্র এবং তীক্ষ্ণবুদ্ধিশালিনী বেগমের অঞ্চলতাড়িত বলিয়া জানিতেন। ইহার• উপর যখন দেখিলেন, দুর্গানাবেগম জামাতা