বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 बक्री। --سمبسایہاماس হতভাগ্য লোকদিগের জনতা প্রবল বঙ্গার ষ্ঠায় সবেগে আসিরা যেন কলকপাটের সম্মুখে আটুকাইয়া পড়িয়াছে। এইখানে উহার সমবেত হইয়া হস্ত প্রসারিত করিয়া রহিয়াছে। কেহ যে, উহাদের গতিরোধ করিতেছে, এরূপ নহে ; কিন্তু, পৃথিবীর অন্যান্ত দেশের ছায় নগরের এই সব প্রবেশপথগুলিই ভিক্ষুকদিগের মনোমত স্থান। তিন শতাব্দী হইল, উদয়পুরনগর স্থাপিত হয়। ইহারই পূৰ্ব্বদিকে কয়েকক্রোশ দূরে পুরাতন রাজধানী চিতোরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত। এই উদয়পুর ইহারি মধ্যেই যেন জরাজীর্ণ হইয়া পুড়িয়াছে; সমস্ত চুনকাম-কর, —মনে হয় যেন শুভ্ৰ শোকবস্ত্রে আচ্ছাদিত । ইহার অভ্যন্তরে কতকগুলি দেবমন্দির ;– শাদা থাম, শাদা চুড়া ; যেটি সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় ও যুহার মাহাত্ম্য সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক—সেটি জগন্নাথরায়জির মূন্দির। মহারাজের প্রাসাদগুলিও খুব শাদ,-একটি শৈলের উপর অধিঠিত ; উহার এক 'পার্শ্ব হইতে সমস্ত সহঁর অবলোকন করা যায়। এই সকল প্রাসাদের ধবলপ্রভা একটা গভীর বৃহৎ সরোবরের উপর প্রতিফলিত,-চারিদিকে পৰ্ব্বত ও বনরাঞ্জি বিরিয়া আছে। s ঘটনাক্রমে প্রথম হইতেই দুইটি ব্রাহ্মণ যুবকের সহিত আমার আলাপপরিচয় ङ्ग्न ! ইহার দুই সহোদর এবং উভয়েই বৃহৎ মন্দিরের পুরোহিত; যে সময়ে আমার আবাসগৃহ হইতে আমি বুহির হই ন-সেই নিস্তব্ধতার । সময়ে, সেই ৰেলন্ত উত্তাপের সময়ে-ইহার বুঝিয়া-মুঝিয়াই আমার সহিত এই পান্থশালায় সাক্ষ্যৎ করিত্রে আইসে। এই দুই জ্ঞায়ের [ હ$ ૧૬. નાવ একইরকম মুখ ;-অতীব সুন্দর স্বাক্ষাবয়ব মুখশ্ৰী; উভয়েরই বড়-বড় চোখ ;- যোগিজনের মত একটু রহস্যময় ( mystic)। ইহাদের বিশুদ্ধ কুল সান্ধৰ্য্যদোষে কলুষিত না হইয়া, তিনসহস্ৰ বৃৎসর হইতে অক্ষুণ্ণভাবে চলিয়া আসিতেছে। ইহারা সেই সব ধ্যানণরায়ণ ঋষিদের বংশধর—যাহারা প্রথম হইতেই, আমাদের মত অধম মানবকুলের বাহিরে ও বহু উৰ্দ্ধে আপনাদিগকে, প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে ; যাহারা অপরিমিত পানাহারে, কিংবা বাণিজ্যে, কিংবা যুদ্ধে কখন লিপ্ত হয় নাই ;—যাহার একটি ক্ষুদ্র পশুকেও কখন হত্য করে নাই; যাহার আহারের জন্ত কখন জীবহিংসা করে নাই। যে মাটির ছাচে ইহারা গঠিত, তাহা আমাদের হইতে ভিন্ন এবং আমাদের অপেক্ষ নিৰ্ম্মল ; মৃত্যুর পূর্বেই ইহারা যেন একটু অশরীরী ভাব ধারণ করে ; এবং ইহাদের ইঞ্জিয়চেতনা এতটা স্থূলতাবর্জিত যে, এই অস্থায়ী জীবনের পরপারস্থ জিনিষসকল ও লেশ দিব্যচক্ষে দেখিতে পায় । কিন্তু সে যাহাই হউক, আমি যে আশা করিয়াছিলাম উহাদের নিকট হইতে কিছু জ্ঞানালোক পাইব, এখন দেখিতেছি, আমার সে আশা আকাশকুসুমবৎ অলীক। অনুষ্ঠানআড়ম্বরের অপব্যবহারপ্রযুক্ত পুরুষপুরুষামুক্রমে ইহাদের ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্ম তমসাবৃত হইয়া পড়িয়াছে ;–সাঙ্কেতিক রূপকের মধ্যে যে অর্থ প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে, তাহ এক্ষণে উহার অবগুত নহে। “আমরা যে দেবতার পূজা করি, সেই দেবতার ‘পরমভক্ত করণসিংহের পুত্র,— রাজত্ৰ জগৎসিংহ। ১৬৮৪ সালে সিংহাসনে