বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা।] ब्रांखउ*क्ञिौ । ���? • বিধবাদের মুখে সৰ্ব্বদা মহারাণী শুনিতে পাইতেন এবং আমাদের সমক্ষে কতবার র্তাহাকে সুখ্যাতি করিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিয়াছেন। আমি ছুটীর পর বোয়ালিয়ায় গিয়া কিশোরীকে সে সব কথা শুনাইতাম এবং তাহার সলজ্জমুখে উৎসাহের জ্যোতি দেখিয়া আনন্দিত হইতাম । সাবালক হইবার কিছুদিন পূৰ্ব্ব হইতেই কুমার বৈষয়িক কাৰ্য্য কিছু কিছু দেখিতে শুনিতেছিলেন। সেজন্য মহারাণী পূৰ্ব্বের মত সব ব্যাপারে জড়িত হইতে আর ইচ্ছা করিতেন না। একদিন প্রাতে অন্দরে গিয়া দেখি, আত্মীয়-স্বজন এবং পুরাতন কৰ্ম্মচারীদের ভিতর র্যাহারা মাতার সহিত কখা কহিতেন, এমন ৫।৬ জন পুরুষ উপস্থিত । নানা বিষয়ে কথাবার্তা চলিতেছিল। কিছু পরে তাহার দূরসম্পৰ্কীয় এক খুল্লতাত এবং কৰ্ম্মচারী দস্তখত করাইবার জন্ত রোকড় আনিতে অনুমতি চাহিলেন। মহারাণী অস্বীকার করিলেন, কেহ কেহ অনুরোধ করিলে, বলিলেন, “আমি তাতে দস্তখত করিব না।” কেহ বলিল, একবার দেখিয়া দিন। উত্তর-দস্তখত না করিলে দেখা না দেখা সমান।” * * * দত্ত বলিয়া বসিলেন, "কাহাকেও আজ্ঞা করুন।” মা হাসিয়া একজন বর্ণজ্ঞানহীন চাকরের নাম করিলেন। ইহাতে দত্তজী কত লোকের নাম করিল যাহারা মুখ খুচ মানবের অনুগ্রহে কৃতী হইয়াছে। একটু সুযোগ পাইয়া খুল্লতাত রোকড়ে দস্তখৎ করার অনুরোধটি পুনরুক্ত করিলেন এবু ইহাও জানাইলেন যে কুমার মহাশয়ও তাহা বলিয়াছেন। মা বলিলেন, কুমার ত আর আমার গুরুতর লোক নয় যে কথা না শুনিলে পাপ হইবে।” ঐ দিন কথায় কথায় * * * রাণী ঠাকুরাণীর গল্প উঠিল, তাহার সর্বাঙ্গ, সুন্দর দেহ, কেবল ওষ্ঠস্বয় ও দন্তে পারিপাট্যের অভাব বলিয়া তিনি মুখে কাপড় দিয়া থাকেন। স্বামীর উইল সম্বন্ধে তিনি মহারাণী মাতাকে বলিয়াছিলেন যে তার কাছে দুই উইল আছে, নকল ও জাল। নাবালকের লেখা বলিয়া আসলখানা সন্দেহ বশত কার্য্যকর নয় । মা বলিলেন “অধিকাংশ উইলই ঐক্কপ * * * রাজার উইলের কথা তুলিলেন। বলিলেন “সে উইলে একটি মাত্র অক্ষর লেখা হইয়াছিল। কিছুদিন পূৰ্ব্বে তিনি শুনিয়াছেন যে মৃত্যুর অন্তত ২৪ ঘণ্টা পূৰ্ব্বের লিখিত না হইলে উইল গ্রাহ হইবে না। তা একটু ভাল বটে, কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টা পূৰ্ব্বেই বা জ্ঞান থাকে কৈ ? বলিলেন গিরিধর রায় চারি মানির উইল লিখিয়াছিলেন, এখানকার উইলও তাহার লেখা । ভাগ্যে জায়গীরের মাহুল কয়খানি লিখিয়া দিয়াছিলেন । * * ত্ৰৈলোক্য বলিল “সে কথা বলিয়া কাজ নাই মা !” উত্তর—“অন্যায় কথা তু বুলিতেছি না। সকল উইলেই পোষ্যপুত্র গ্রহণের বিধি দেয়, ভয় কিছু নাই।” মহারাণী মৃদুহান্ত করিলেন । e o • কোন আত্মীয়ার পীড়া হইয়াছিল, হাত দেখিবার জন্ত কবিরাজ মহাশয় অনারে আসিলেন, মহারাণীমাতার গৃহের এক পাট বন্ধ হইল ; সেদিকে আত্মীয়া বসিয়া হাওঁ দেখাইবেন। মা কাছের সম্বা গঞ্জ