পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6V93 বঙ্গদর্শন । [ ৬ষ্ঠ ঘর্ষ ফান্ধন। কথ স্বতন্ত্ৰ! কিন্তু বিজাতীয় শিক্ষাদীক্ষায় সরাসর সপিয়া দিয়া আমাদের জাতীয় অক্ষ যাহাদের ভক্তির উৎস শুষ্ক হইয়া গিয়াছে, তাহাদের সেই উৎস উৎসারিত হইলে বুঝিতাম যে, প্রকৃতই বিশ্বেশ্বরমাহাত্ম্য অসীম— “डनृङ् शमश्रुन् । আজকাল ইংরেজনিন্দ ও স্বদেশানুরাগ সমার্থবোধক হইয়া উঠিয়াছে। এই ইংরেজবিদ্বেষ ও স্বজাত্যমুরাগের দিনে খ্ৰীষ্টান ইংরেজের প্রশংসা ও হিন্দুসমাজের নিন্দ করিলে পাঠকগণের বিরাগভাজন হইতে হইবে, সন্দেহ নাই। কিন্তু সত্যের ও দ্যায়ের অনুরোধে বলিতে বাধ্য হইতেছি যে, খ্ৰীষ্টান ইংরেজের গির্জায় কি সুশৃঙ্খলা, নিরুপদ্রবত ও প্রগাঢ় শান্তি বিরাজমান, আর হিন্দুর দেবমন্দিরে কি ঠেলাঠেলি, কি ভিড়, কি হটগোল ! এই মূৰ্ত্ত শব্দকল্লোলও সাকারোপাসনার একটা অঙ্গ নাকি ? আমরাই আবার হিন্দুধর্মের আধ্যাত্মিকতা লইয়া আস্ফালন করি ও খ্ৰীষ্টানজগতের ঘোর materialism লইয়া টিটুকারী দিই। মহাস্ত ও সেবায়তগণের কলুষিত চরিত্র-ও বিকট তাণ্ডবলীলা দেখিয়া আমাদের চৈতন্ত হয় না, আর সরকারবাহাদুর Religious Endowment Act পাস্ করিতে গেলে আমরা জাতি গেল, ধৰ্ম্ম গেল, সমাজবন্ধন টুটিল’ বলিয়া চীৎকার করিতে गञ्जिङ रुझे न ।’ उांझे बलि, ७हे खे९कल्ले স্বদেশীয়তার দিনে পরমুখপ্রেক্ষী না হইয়া ঘরের গলদ সারিয়া লইতে, তীৰ্থকণ্ঠস্ক, দূর করিতে হিন্দুসাধারণের সজীব ও সচেষ্ট হওয়া উচিত। আর যদি ভূমির এই সামাজিক সংস্কার সাধন করিতে অপটু হই, তবে অভিমান ত্যাগ করিয়া- সুরকারবাহাইরের হাতে এই ভার মতা স্বীকার করাই শ্রেয় নহে কি ? সতীদাহ, গঙ্গাসাগরে সস্তানবিসর্জন প্রভৃতি নৃশংসপ্রথা উৎসাদন করিতে আমাদিগকে বিধৰ্ম্মী রাজার শরণাপন্ন হইতে হইয়াছিল, এ কথা ভুলিলে চলিবে না । হাজার ও চীৎকার করি আর স্বদেশীভাণ করি, আজও তাহাই আমাদের জাতির উপযুক্ত পথ। স্বাবলম্বন এ জাতির কোষ্ঠীতে লেগে নাই । স্নানের ঘাটগুলির মধ্যে দশাশ্বমেধঘাট সৰ্ব্বপ্রধান । এই ঘাটে যত স্ত্রীপুরুষ স্নান করে, এত বোধ হয় আর কোন ঘাটেই নহে। তন্মধ্যে বাঙালীর সংখ্যাই বেশী । প্রাতে ও সন্ধ্যায় সারিসারি স্ত্রীপুরুষ ঘাটে আসনে বসিয়া , সন্ধ্যাক্লিক করিতেছেন, কেহ কেহ বা সাধুসন্ন্যাসীদের সহিত ধৰ্ম্মালাপ করিতেছেন, এ দৃশুটি অতি পবিত্র। বিজয়াদশমীর দিন বিসৰ্জ্জনের জন্ত সমস্ত প্রতিমা এই ঘাটে আনীত হয় । সহস্ৰ সহস্ৰ কুলবধূ নিকটস্থ আটালিকাসমূহের গবাক্ষ বা ছাদু হইতে উৎসুকনয়নে প্রতিমা দেখিতেছে, সে দৃশুটি পরমরমণীয়। তৎকালে ঘাটে পুরুষেরও বিলক্ষণ জনতা হয়। এখানকার গঙ্গাজল স্বস্নিগ্ধ, মানে শরীর জুড়ায় এবং চিত্তে অভূতপূৰ্ব্ব শাস্তি ও পবিত্রতার উদয় হয় ; তাই মনে হয়, স্নানে পাপক্ষয় হওয়ার কথাটা নিতান্ত পৌরাণিক উপকথা ন হইতেও পারে। ঘাটের অবস্থা দেখিয়া কিন্তু ব্যথিত হইতে হয়। ঘাটের উপরিভাগ ও সোপান ; শ্রেণী মনুষ্যমূত্রের গন্ধে এবং কুকুরবিষ্ঠায় ( ইহার মধ্যে মনুষ্যকুকুরও আছে ) অশ্রদ্ধা, ও বিতৃষ্ণ জন্মাইয়া দেয় । গঙ্গাস্নানে যাতা