পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা। ] c**नॉब्रक । 43 আন্দোলন-আলোচনার ঢেউ উঠিয়াছে, তাহার মধ্যে অনেকটা আছে -- যাহা কলহমাত্র। * নিঃসন্দেহই দেশবৎসল লোকেরা এই কলহের জন্ত জুস্তরে অন্তরে লজ্জা অনুভব করিতেছেন। •কারণ, কলহ অক্ষমের উত্তেজনাপ্রকাশ, তাহা অকৰ্ম্মশ্যের একপ্রকার আত্মবিনোদন। আপনাদের কাছে আমি স্পষ্টই স্বীকার করিতেছি, বাঙালীর মুখে “বয়কটু”শব্দের আস্ফালনে আমি বারংবার মাথা হেঁট করিয়াছি। আমাদের পক্ষে এমন সঙ্কোচজনক কথা আর নাই। বয়কটু তুৰ্ব্বলের প্লয়াস নহে, ইহা দুৰ্ব্বলের কলহ। আমরা নিজের মঙ্গলসাধনের উপলক্ষ্যে নিজের ভাল করিলাম না, আজ পরের মনা করিবার উৎসাহেই নিজের ভাল করিতে বসিয়াছি, এ কথা মুখে উচ্চারণ করিবার নহে। আমি অনেক বক্তাকে উচ্চৈস্বরে বলিতে শুনিয়াছি —“আমরায়ুনিভসিটিকে বয়কট কুরিব?” কেন করিব ? য়ুনিভর্সিটি যদি ভাল জিনিষ হয়, তবে তাহার সঙ্গে গায়ে পড়িয়া আড়ি করিয়া দেশের অহিত করিবার অধিকার আমাদের কাহারে নাই। যদি য়ুনিভর্সিটি অসম্পূর্ণ হয়, যদি তাহা আমাদিগকে অতীষ্টফল দান না করে, তবে তাছাকে বর্জন করাকে বয়কটু করা বলে না। যে মনিব বেতন দেয় না, তাহার কৰ্ম্ম ছাড়িয়া দেওয়াকে বয়কটু করা বলে না। কচ দৈত্যগুরুর আশ্রমে আসিয়া দৈত্যদের উৎ ও গুরুর অনিচ্ছাসত্বেও ধৈর্য্য ও • অবলম্বনপুৰ্ব্বক বিষ্ঠালাভ করিাবেগণকে জয় করিয়াছেন। জাপাও ..যুরোপের আশ্রম হইতে এইরূপ কৃচেরब्लङहे बिछीणांउ कब्रिब जाब जङ्गबूड* श्ब्राtइनै ।*'cनरनद्र शशाङ ३8, जॉश ८षभन করিয়াই হউক সংগ্ৰহ করিতে হটৰে, সেজন্ত সমস্ত সহ করা পৌরুষেরই * লক্ষণ—তাহার পর সংগ্ৰহকাৰ্য্য শেষ হইলে স্বাতন্ত্র্যপ্রকাশ করিবার দিন আসিতে পারে। দেশের কাজে রাগারগিটা কখনই লক্ষ্য হইতে পারে না । দেশের কাজের মাহাত্ম্য যদি আমরা মনের মধ্যে ধারণ করিয়া রাখিতে পারি,তবে তাহারই উদ্দেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উত্তেজনা আমরা উপেক্ষা করিয়া কৰ্ত্তব্যপথে স্থির থাকিতে পারিব। আমাদের গৌভাগ্যক্রমে, দেশে স্বদেশী উদ্যোগ আজ যে এমন ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছে, বয়কটু তাহার প্রাণ নহে। একটা তুচ্ছ কলহের ভাব কখনই দেশের অন্তঃকরণকে এমন করিয়া টানিতে পারিত না। এই যে স্বদেশী উদ্যোগের আহবানমাত্রে দেশ এক মুহূর্বে সাড়া দিয়াছে, কার্জনের সঙ্গে আড়ি তাহার কারণ হইতেইs পারে না ; জগতে কার্জন এত-বড় লোক নহে ; এই আহ্বান দেশের শুভবুদ্ধির সিংহদ্বারে আঘাত কুরিয়াছিল বলিয়াই আজ ইহা এত দ্রুত এমন সমাদর পাইয়াছে। আজ আমরা দৈশের কাপড় পরিতেছি কেবল পরের উপর রাগ করিয়া, এই যদি সত্য হয়, তবে দেশের কাপড়ের এভ-বড় অবমাননা আর হইতেই পারে না। আজ আমরা স্বায়ত্তভাবে দেশের শিক্ষার উন্নতিসাধনে প্রবৃত্ত হইয়াছি যুগারাই যদি তাহার ভিত্তিভূমি হয়, তবে এই বিদ্যালয়ে আমরা জাতীয় অগৌরবের স্মরণস্তম্ভ রচনা করিতেছি । ... • e আরো লজ্জার কারণ এই যে, বয়কটের মধ্যে আমরাধে স্পর্ক প্রকাশ কৱিতেছি, সেই ম্পর্ধার শক্তিটা কোথায় অবস্থিত ? •য়ে কি. আমাদের লিজের গায়ের জোসে ইংল্প