পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

éée দিলেন। নিজে যাহা কিছু করিয়াছিলেন, যথাসাধ্য তাহ গোপন করিলেন । কিন্তু অপরিচিত যুবকের বুঝিতে বিলম্ব হইল না যে, সেই সৌম্যমূৰ্ত্তি মহাত্মাই তাছার জীবনদাতা। অনেকদিনের অনেক কথা তাহার মনে পড়িয়া গেল। তখন তিনি সহসা শয্যাত্যাগ করিয়া দাসমহাশয়ের পদধূলি গ্রহণ করিলেন। শিবাপ্রসন্ন নিবারণ করিতে যাইতেছিলেন,— পারিলেন না । ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ । রাজঘাটের ধৰ্ম্মশালায় ধৰ্ম্মনিৰ্ব্বিশেষে পথিকদের আশ্রয় মিলিত। হিন্দুমুসলমানের জন্ত পৃথকৃ शृथक् इॉन निर्किटे झिल थदं भञ्जूद्रडश्चद्रांप्ख्द्र সুব্যবস্থায় রাজকৰ্ম্মচারী একজন বারমাস সেখানে উপস্থিত থাকিয়া সকলকেই সিধা’ বিতরণ করিতেন । ঘটনার দিন সায়ংকালে কটকের দিকৃ হইতে একদল ফকীর –সংখ্যায় দশজন— আসিয়া মুসলমানদের জন্য রক্ষিত বিশ্রামাগারটি দখল করিয়া বসিল। রাজকৰ্ম্মচারী প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করিয়া কেবলমাত্র জানিতে পারিলেন যে, তাহারা মসজীদ্বনিৰ্ম্মাণের জন্য ভিক্ষার বাহির হইয়াছে এবং সম্প্রতি হরিহরপুরের দিকে যাইৰে । .. হরিহরপুর তখন ময়ূরভঞ্জের রাজধানী। কটক বা বালেশ্বর হইতে তথায় যাইতে হইলে সোজাপর্থের অভাব ছিল না । অতএব রাজকৰ্ম্মচারী এই উত্তরে কোন বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারিলেন না। তখন উড়িষ্যার শাসনকর্তার সহিত নেবাব আলীবর্দির যুদ্ধ অবশুভাৰী হইয়া উঠিয়াছে এবং রাজা চক্ৰাধিপভৱ ক্রমশ রাজৰাটুে সমরোদোগ সম্পূর্ণ করিতে बंश्रमलन । [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, ফাঞ্জন । ছিলেন। চুয়াড় এবং খণ্ডাইৎ সেনারা কুলীমজুরের কাজ করিবার অছিলায় প্রতিদিন বদ্ধিতসংখ্যায় সমবেত হইতেছিল। রাজকৰ্ম্মচারী কল্যাণপও বহুদৰ্শী বিজ্ঞব্যক্তি । “সাবধানের বিনাশ নাই”—র্তাহার রাজনীতির মূলস্বত্র ইহাই । তিনি স্থির করিয়া বসিলেন, এই ফকারগুলা ছদ্মবেশে পাঠানসৈন্ত,— কোন মতলবসিদ্ধির জন্ত দেওয়ান মীরহবীবের আদেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। কল্যাণপও ঠিক্ ঠাহর করিয়াছিলেন। তাহারা দেওয়ানসাহেবের অনুচরই বটে। তবে কি উদ্দেশুে মিত্রভাবাপন্ন ময়ূরভঞ্জাধিপের অধিকারে তিনি গুপ্তচর পাঠাইবার স্পৰ্দ্ধা রাখেন, সেটি জানিবার এক্তিয়ার রাজঘাটকেল্লার প্রধান কৰ্ম্মচারীর অবশ্ব আছে। পণ্ডামহাশয়ের কতকটা বিদ্যাসাগরী ধরণের বেশ । সেই অৰ্দ্ধমুণ্ডিত পরিপক্ক মস্তকের ভিতর সুশীতল তীক্ষুধী এবং উত্তরীয়খণ্ডে মাত্র আবৃত বিশালবক্ষে অদম্য সাহস ও শৌর্য্য বিরাজ করিত। যেমন তাহার প্রতীতি হইল, মীয়হবীব তদীয় প্রভূর সহিত চাতুরী খেলিতে সাহস করিয়াছেন, অমনি তিনি দৃঢ়সঙ্কল্পে একাকী ফকীরশালায় দর্শন দিলেন। তখন তাহার শুপাকৃতি “রোটী” পাকাইয়া প্রাতরাশের অবশিষ্ট কাবাবের রাশি গরম করিবার উদ্যোগে ব্যস্ত ছিল। সুতরাং লম্বনগন্ধে আমোদিত সে স্থান তখন পগুঞ্জিীর মত গোড়াহিদুর পক্ষে “অতিসেবা” ছিল না । এই প্রাচীন রাজকৰ্ম্মচারী মেদিনীপুর হইতে জলেশ্বর এবং রাজঘাট হইতে বালেশ্বর পৰ্য্যস্ত সৰ্ব্বত্র স্বপরিচিত ছিলেন। ফকীরেরাও