পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dSS ৰঙ্গদর্শন । [ બુર્દ ৰৰ্ষ, চৈত্র i বস্তুত সাধারণ হিন্দু এইগুলিকেই ধৰ্ম্ম বলিয়া ধরে ; এতদ্ব্যতীত সৰ্ব্ববর্ণসাধারণ সত্য, অহিংসা, শৌচ প্রভৃতিকে বড়-একটা আমল দেয় না । ধৰ্ম্মের বাহ আড়ম্বরকে — ক্রিয়াকলাপকেই—ধৰ্ম্ম বলিয়া মনে করা যে কেবল সাধারণ হিন্দুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ, এরূপ নহে। ইয়ুরোপের প্রাকৃতজনের পক্ষেও ঠিক ঐ কথা বলা যাইতে পারে। আমাদের এরূপ হইল কেন ? মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য বলিয়াছেন“অহিংস সত্যমস্তেয়ং শৌচমিক্সিয়নিগ্ৰহঃ । দানং দমো দয়া ক্ষস্তি: সৰ্ব্বেষাং ধৰ্ম্মসাধনম্।" 3 sכן כי মহর্ষি মমু বলিয়াছেন— “চতুর্ভিরপি চৈবৈতৈর্নিত্যমাশ্রমিভিদ্বিজৈঃ । * দুশলক্ষণকে ধৰ্ম্মঃ সেবিতব্য: প্রফতুত: | ধৃতিঃ ক্ষমা দমোহন্তেয়ং শৌচমিন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহঃ । দি। সত্যমক্রোধে দশকং ধৰ্ম্মলক্ষণম্।” w や関為>ーお求 বিষ্ণু, ব্যাস, বৃহস্পতি প্রভৃতির ধৰ্ম্মশাস্ত্রে এবং মহাভারতাদিতেও ঠিক্‌ এইরূপ বিধান দেখা যায়। এগুলি সকল মানবের—সকল বর্ণের— সকল আশ্রমের সাধারণ ধৰ্ম্ম । এগুলি পালন না করিলে মানুষ মানুষপদবাচ্যই তইতে পারে না। চণ্ডালকেও এ ধৰ্ম্মদশটি” পালন করিতে হইবে। আগে মানু্য হও, পরে মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ হইবে। অগ্ৰে সত্য, শৌচ, দর, অহিংসা প্রভৃতির অনুশীলন কর, পরে ব্রাহ্মণোচিত সন্ধ্যাহিকে মনোনিবেশ করিবে। যে মানুষ নয়, সে ব্রাহ্মণ হইবে কিরূপে ? মানুষ একটি ব্যাপক CSF Genus এই ব্যাপক শ্রেণীর নিখিলধৰ্ম্ম বিদ্যমান না থাকিলে ব্যাপ্য ( Species ) ব্রাহ্মণশ্রেণীতে প্রবেশই অসম্ভব। ধৰ্ম্মধবজী, মিথ্যাবাদী, ব্রাহ্মণনামধারী জীব মানুষই নহে। সে উপবাসে দেহপাত করুক--সন্ধ্যাতপণে অষ্টপ্রহর কাটাক্—তথাপি সে ব্রাহ্মণ নহে। মহর্ষি অত্ৰি বলিয়াছেন যমান সেবেত সততং মানিত্যং নিয়মান বুধ: | যমান পতাকুরাণে নিয়মানু কেবলীন ভজন । আনুশংসাং ক্ষমা সত্যমহিংসা"ানমার্জবম | প্রতি: প্রসাদে মাধুৰ্য্যং মার্দবঞ্চ বম দশ ॥ ৪৮ ৷৷ শ্ৰেীচfমজা তপে দানং স্বাধ্যায়োপস্থনিগ্ৰহঃ । রতমেনেীপবাসীশচ স্নানঞ্চ নিয়ম দশ ॥ ৪৯ ৷ ঋষিদের এই যুক্তিযুক্ত উপদেশ আমরা ভুলিয়া গিয়াছি। তাই আমাদের এত দুৰ্গতি। এ উপদেশ ভুলিলাম কেন ? কেন লোকে মনে করে যে, সন্ধ্যাদিই ধৰ্ম্ম ? কেন লোকে সত্যনিষ্ঠা, স্বাৰ্থত্যাগ প্রভৃতিকে মনে আনে না ? ইহার কারণ কি ? কারণ—আমাদের ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় ধারণা এবং শাস্ত্র গ্রন্থে অচলা ভক্তি । মেদিন কৰ্ম্মমীমাংসক আচার্য জৈমিনি “চোদনা লক্ষণোঙ্গর্থে পৰ্ম্মঃ” বলিলেন, সেইদিনই আমাদের সনাতন ধর্মের মূলে সুদৃঢ় কুঠারাঘাত আরম্ভ হইল। বেদ – একথাম বা দশথান বই -- ইহারা আমাদের ধয়ের প্রমাণ হইয়া দাড়াইল । বেদে বাহ লিখে, তাহা ধৰ্ম্মতদিতর ধৰ্ম্ম নহে— এই বিশ্বাসই আমাদের ধৰ্ম্মোচ্ছেদের মুলকারণ। o কথাটা খুলিয়া বলিতেছি। ধৰ্ম্ম ஈ: এ প্রশ্নের শতশত উত্তর হইতে পারে। যদি •. মনুসংহিতার পূৰ্ব্বোজ ১•৬৩:প্লকের সহিত ৬৯১ঙ্গোৰুত্ব দ্বিজপদ উপলক্ষণ । একবাক্যত করিলে সহজেই উপলব্ধ হইবে যে, মনুর