বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धांजण अश्थn । ] এবং উহার অশাস্ত্রীয়তাপ্রতিপাদনকারী পুরুষশ্রেষ্ঠও নাস্তিক এবং অধাৰ্ম্মিক বলিয়া গণ্য হন। এইরূপে প্রাচীনকালে ব্রাহ্মণ তপস্বী জাজলি সৰ্ব্বভূতহিতে রত বৈষ্ঠ মহাত্মা তুলাধারকে নাস্তিক বলিয়া ঠাওরাইয়াছিলেন ( মহাভারত ১২৫৪–৫৬ অধ্যায় দেখুন)। আবার এই জন্যই বঙ্গে এখনও বিধবাবিবাহের প্রচলন, , বহুবিবাহের উচ্ছেদ বা কৌলিন্ত প্রথার বিলয় সাধিত হইল না। লোকে বলে—“বিধবাবিবাহ সমাজে অপ্রচলিত; কাজেই - উহা অধৰ্ম্ম ; কৌলিন্তপ্রথার চল আছে, কাজেই উহা ধৰ্ম্ম। যদি শাস্ত্রে বিধবাবিবাহ প্রতিষিদ্ধ এবং কৌলিন্তপ্রথা সমর্থিত না হইত, তবে অবশুই উহার সমাজে নিন্দনীয় বা প্রশংসনীয় হইত না । অতএব উহারা যথাক্রমে শাস্ত্রনিষিদ্ধ (বা অধৰ্ম্ম) এবং শাহুমোতি ( বা ধৰ্ম্ম )।” এইরূপ অদ্ভূত যুক্তির অবতারণা জৈমিনিকৃত ধৰ্ম্মলক্ষণের অবশ্যম্ভাবী ফল। ভারতীয় আস্তিকদর্শনসমূহের পর্য্যালোচনা করিলে, দার্শনিকদের মতে, শাস্ত্রের সহিত স্বাধীনচিস্তার কিরূপ সম্বন্ধ থাকা উচিত, তাহ বেশ সুন্দররপে' হৃদয়ঙ্গম হয়। দ্যায়, বৈশেষিক, সাংখ্য, যোগ, মীমাংসা, বেদান্ত—ইহারা আস্তিকদর্শন। ইহারা সকলেই বস্তুতত্ত্বজ্ঞানবিষয়ে শাস্ত্রকেই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করে। একই শ্রতি বা উপনিষৎ সকলেরই উপজীব্য। অথচ প্রত্যেকের দর্শন অপর প্রত্যেকের দর্শন হইতে • ভিন্ন । “তত্ত্বমসি শ্বেতকেতো” ( ছান্দ্যোগ্য ),

  • অজানেকাংলোহিতগুরুত্বকাশ (শ্বেতাশ্বতর)— * এই উভয় শ্রীতির প্রামাণ্য সাংখ্য এবং বেদান্তী উভয়েই মানেন। তবে বেদান্তী প্রথমশ্রীতির অক্ষরার্থ গ্রহণ করেন, এবং দ্বিতীয় শ্রুতিকে,

१*{, जभांख ७ यांशैमल्लिखीं । 6న సి স্বকীয় দার্শনিকমতানুসারে, কষ্টকল্পনা করিয়া ব্যাখ্যা করেন । সাংখ্য দ্বিতীয়শ্রীতিকে নিজের উপজীব্য করিয়া প্রথমশ্রুতির অক্ষরার্থ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হন। আবার একই ব্লেদান্তদর্শন নানান ভাগে বিভক্ত। শঙ্করাচাৰ্য্য, রামামুজ, মধবাচাৰ্য্য—ইহারা সকলেই শ্রুতির প্রমাণ্যে অবিপ্রতিপন্ন ; কিন্তু ইহাদের দর্শনে আকাশপাতাল ভেদ। কেহ বা এক বই দুই একেবারেই गर्मन न : কেহ বা একের মধ্যে, একের ক্রোড়গত বহুত্ব স্বীকা করেন ;? আর কেহ বা অবাধে “প্রপঞ্চে ভেদপঞ্চক" বলিয়া বসেন। শ্রুতিকে—শাস্ত্রকে প্রমাণ বলিয়া ধরিলেও দর্শনে এইরূপ মতভেদ হইতে পারে। এই মতভেদ কি কতকটা স্বাধীনচিস্তার স্বচক নহে ? শঙ্কর, রামানুজ, এবং মধবাচার্য্য—“ইহার শাস্ত্র পড়িয়া নিজ নিজ প্রতিভানুসারে জ্ঞাতব্যপ্রপঞ্চসম্বন্ধে একএকটা সিদ্ধান্তে উপনীত হইলেন; একএকটি জিনিষ তথা বলিয়া বুঝিলেন, এবং ঐরূপ বুঝিয়া সমস্ত শ্রুতিকে তদনুসারে ব্যাখ্যাত করিলেন। শাস্ত্রাধ্যয়ন—স্বাধীনচিন্তা-শাস্ত্রব্যাখ্যা—এই হইল ইহাদের মনোবৃত্তির ক্রমিক বিকাশের নিয়ম। বস্তুত, পৃথিবীর সকল দার্শনিকের মনোবৃত্তির জুভূিব্যক্তিতেই প্রথম দুইটি ক্রম বিদ্যমান থাকে। আধুনিক দার্শনিকযুগের প্রবর্তৃক ফরাসীপণ্ডিত দেকার্ত (Descartes ) প্রথমে তৎকালীন সমস্ত জ্ঞান অর্জন করিলেন { শাস্ত্রাব্যয়ন )। ইহাতে র্তাহার জ্ঞানপিপাসার নিবৃত্তি হইল না। তিনি নিজে চিন্তা করিতে লাগিলেন। তাইারই চিন্তার ফলে ইরোপে নূতন দার্শনিক প্রবর্তিত হইল ( স্বাধীনচিত্তা )। কিন্তু ইয়ুরোপ