বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दांमल नशथा । ] প্রমাণ বলিয়া পরিগণিত হইবে।” যথা মিতাক্ষরা— “স্বস চ অস্ত্রনঃ প্ৰিয়ং বৈকল্পিকে বিষয়ে যগ গর্ভীষ্টমেহষ্টমে বাব্দে ব্রাহ্মণসোপিনয়নমিতাদেী আত্মে ऐध्रहरु निग्नोप्रेिम ! ।” কুল্পক বলিতেছেন— “আত্মতৃষ্টিশ্চ বৈকল্পিকপদার্থবিষধধৰ্ম্মে প্রমাণম্ তদাহ গৰ্গ:-বৈকল্পিকে আত্মতুষ্টিঃ প্রমাণম্”। মনু ২৬ টীকা । আবার— “এতচ্চাৰিতিনিষিদ্ধগোচরং বৈকল্পিকবিষয়ঞ্চ” মনু ৪,১৬১ টীকা । to waif-stro Conscience of Moral Reason as GT একটু আভাস পড়িয়াছিল, তাহী ক্রমে পরিস্ফুট না হইয় কালে লোপ পাইল । মানবের • “অন্তরাত্মা” ধৰ্ম্মবিষয়ে প্রমাণ হইতে পারিল না । বাহ কয়েকখানি পুস্তক—বেদ, স্মৃতি, পুরাণ, তন্ত্ৰ— ইহারাই ধৰ্ম্মবিষয়ে প্রমাণ রহিয়া গেল । ফলে, আমাদের স্বাধীনচিন্তা গেল -ধৰ্ম্ম গেল—সব গেল । আমাদের দেশের প্রচলিত ধারণানুসারে, বেদই ধৰ্ম্মের একমাত্র মূলপ্রমাণ। কেন না, স্মৃতি ও শিষ্টাচারের প্রামাণ্যও বেদের প্রামাণ্যের উপর নির্ভর করে। স্মৃতি ও শিষ্টাচার দ্বারা উহাদের মূলভূত শ্রতি অনুমিত হয় এবং ঐ অনুমিত শ্রুতির প্রামাণ্যেই উহাদের প্রামাণ্য। কুৰ্য্যত কিন্তু সমাজে বেদের প্রামাণ্য নাই এলিলেই চলে। স্বাৰ্ত্ত রঘুনন্নের স্মৃতিনিবন্ধ , প্রভৃতিই আমাদের ধৰ্ম্মে প্রমাণ। ঐ সকল * মিবন্ধে প্রধানত পুরাণ-তন্ত্র-প্রতিপাদ্য ধৰ্ম্মই উপদিষ্ট হইয়াছে। বস্তুত আমাদের দেশের १{, गभांश ७ क्षांशेौनफ़िशुj । وبي هوايا শিষ্টাচারের মধ্যে শতকরা নিরেনকাইটির জন্ত কোন শ্রুতি দেখিতে পাওয়া যায় না। স্মৃতিকেই প্রমাণ বলিয়া ধরা হয়। স্থতিদ্বারা অনুমান করিয়া লই যে, এক সময়ে ঐ সকল স্কৃতির মূলভূত শ্রুতি বিদ্যমান ছিল, অধুনা উহার লোপ পাইয়াছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, ভারতে এবং ইয়ুরোপে যে শত শত বৈদিকগ্রন্থ প্রকাশিত হইয়ছে, তাহাতে প্রচলিত আচারপদ্ধতির পোষক কথা কমই দেথ যায়। বস্তুত বেদের আলোচনা করিলে, বৈদিকধৰ্ম্মকে এক স্বতন্ত্র ধৰ্ম্ম বলিয়াই মনে হয়। - যুধিষ্ঠির সত্যই বলিয়াছেন– ১ অম্বিায়ুবচনং সত্যমিত্যয়ং লোকসংগ্ৰহঃ । भइछि|, ०२l२३२ ले ! বেদকে প্রচলিত ধৰ্ম্মের মূল বলা লোকসংগ্ৰহ( Legal fict on )-xià অন্যথা প্রচলিত ক্রিয়াকলাপবোধক শ্রুতির এরূপ অত্যন্ত লোপ কিরূপে সম্ভব হইতে পারে ? কাজেই আমাদের সমাজের উপর বেদের আধিপত্য , মাত্র নামে। কাৰ্য্যত স্মৃতিই ( পুরাণতন্ত্র ) আমাদের কাছে ধৰ্ম্মবিষয়ে শ্রেষ্ঠপ্রমাণ। আমরা শ্রুতি ছাড়িয়া স্মৃতি-স্মৃতিই বা বলি কেন—আমরা শ্রুতিস্মৃতি ছাড়িয়া কেবলমাত্র শিষ্টাচার-(দেশাচার)-কেইধৰ্ম্মাধৰ্ম্মনির্ণয়ের সৰ্ব্বপ্রধান উপায় বলিয়া ধরিতেছি (বিদ্যাসাগরমহাশয়ের বিধবাবিবাহ শেষ ৪ পৃষ্ঠা দেখুন)। আমরা শ্রুতিমৃতি ছাড়িয়া দিয়াছি। এখন দেশাচারকে ছাড়িতে হইবে। “স্বল্য চ প্রিন্থমাত্মনঃ”—এইটুকুই আমাদের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মনির্ণয়ের সৰ্ব্বপ্রধান প্রমাণ হওয়া উচিত। বস্তুত, অন্ত: রাস্থা বাহাতে তুষ্ট হয়, তাই ধৰ্ম্ম। এই “জন্তরাত্ম" বা “আত্মতুষ্ট" ইয়ুরোপীয় দর্শনের